সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অদ্ভুত এক শিশুর জন্ম হয়েছে! মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার সময় বারইয়ারহাটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবেই ভূমিষ্ঠ হয় ৪ পা বিশিষ্ট শিশুটি। নবজাতক শিশুটি হলো চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন ১নং বাগান বাজার ইউনিয়নের হাতিরখেদা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও নাছরিন আক্তারের সন্তান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার (২০) হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার মারিয়া কিবতিয়ার তত্ত্বাবধানে ওই গৃহবধূ একটি সন্তান প্রসব করেন। এ সময় দেখা যায় শিশুটি ৪ পা বিশিষ্ট। তবে শিশুর পায়ুপথ ২টি দেখা গেলেও লিঙ্গ দেখা না যাওয়ায় বুঝা যাচ্ছে না শিশুটি ছেলে না মেয়ে। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮শ গ্রাম। তবে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে একই গ্রামের নাছরিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। একই বছর আমাদের ৯ মাসের সময় একটি পুত্রসন্তান হয়। তখন শিশুটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। এরপর ২ বছর পর এই শিশুটি জন্ম হয়। সন্তান হওয়ায় খুশি হলেও এখন কেবল দুশ্চিন্তা করছি এই শিশুর কী হবে।
শেফা ইনসান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এসএ ফারুক বলেন, শিশুটির স্বাভাবিকভাবে জন্ম হয়। তবে তার ৪ পায়ের মধ্যে ২টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদণ্ড মেনিগোসিল। শিশুটিকে আমি প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেছি।
শিশুটির কী ধরনের চিকিৎসা করতে হবে? এমন প্রশ্নে ডা. এসএ ফারুক বলেন, তার জন্য অর্থপেডিক্স ও জেনারেল সার্জারি ডাক্তারদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এ ধরনের শিশুর জন্ম নেওয়া বাংলাদেশে এই প্রথম।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
