রবিবার , ২৪ জুলাই ২০১৬ | ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মান্দায় আগুনে পুড়িয়ে শিশুকে হত্যার অভিযোগ, সৎমা আটক

Paris
জুলাই ২৪, ২০১৬ ৮:০৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ
নওগাঁর মান্দায় সৎ মায়ের বিরুদ্ধে আরাফাত হোসেন (৬) নামে এক শিশুকে আগুন পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার শ্রীরামপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আরাফাত ওই গ্রামের মকলেছার রহমানের ছেলে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সৎমা সাথী আক্তারকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির নিজের মা আঙ্গুরী বিবিকে প্রায় আড়াই বছর আগে তালাক দেন মোকলেছার রহমান। এরপর গত এক বছর আগে তিনি শ্রীরামপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে সাথী আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর সৎ মায়ের সংসারেই শিশু আরাফাত বেড়ে উঠছিল।

কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সৎ ছেলেকে ভাল নজরে দেখত না এবং কারণে-অকারণে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। রবিবার দুপুরে আরাফাতকে পায়েস খেতে দেওয়া হয়েছিল। স্বজনদের অভিযোগ, সেই ক্ষীরের সঙ্গে বিষ মাখিয়ে আরাফাতকে হত্যা করা হয়। পরে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু সৎ মা প্রচার করতে থাকে আরাফাত নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে মারা গেছে।
নিহতের নানা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সৎ মা সাথী বেগম ওই সংসারে আসার পর থেকেই তাঁর নাতি আরাফাতের সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। বিভিন্ন সময় তাকে গলা টিপে বা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিত। এসব কথা আরাফাত আমাদেরকে বলেছে। আরাফাতকে তার সৎ মা বিষ খাইয়ে হত্যার পর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
নিহত আরাফাতের দাদি জাহেরা বিবি সিল্কসিটি নিউজকে জানান, রোববার সকালে নাতি আরাফাতকে সুস্থ অবস্থায় রেখে তিনি পাশ্ববর্তি গোবিন্দপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানেই দুপুরে তিনি আরাফাতের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারেন।
নিহত আরাফাতের বাবা মকলেছার রহমান জানান, তিনি ঘটনার সময় স্থানীয় সতীহাট বাজারের সাহাবুদ্দীনের ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করছিলেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে জানান, পায়েসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শিশুটিকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর