সোমবার , ২০ নভেম্বর ২০১৭ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মহেশখালীতে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু সর্দার নিহত

Paris
নভেম্বর ২০, ২০১৭ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের স্বঘোষিত ‘রাজা জাম্বু বাহিনীর’ প্রধান দুর্ধর্ষ জলদস্যু সর্দার মোকাররম হোসেন জাম্বু (৩৮) র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকেলে মহেশখালীর কুতুবজোম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাম্বু ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মহেশখালী দ্বীপের শীর্ষ সন্ত্রাসী।

র‍্যাব-৭ জানিয়েছে, প্রায় আধাঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলার পর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৭টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। র‍্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান জানান, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল সাগরে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মহেশখালীর সোনাদিয়ার কুতুবজোম এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে-এমন তথ্য পেয়ে র‍্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।

দুপুর ২টার দিকে র‍্যাবের দলটি সেখানে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তখন র‍্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। প্রায় ৩০ মিনিট গোলাগুলির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় দুজন র‍্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন।

তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান র‍্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন। র‍্যাব জানায়, উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ২৩টি ওয়ান শ্যুটারগান, ২০টি এসবিবিএল। এ ছাড়া একটি ম্যাগাজিন, এক হাজার ২১৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, নিহত দস্যু সর্দার জাম্বুর বিরুদ্ধে কেবল মহেশখালী থানায় রয়েছে আটটি মামলা। এসবের মধ্যে হত্যা, দস্যুতা, অপহরণ ও অস্ত্র আইনের মামলাসহ নানা অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে।

ওসি আরো জানান, কয়েক বছর আগেও একবার ‘জাম্বু বাহিনী’র সঙ্গে র‍্যাবের সংঘর্ষ হয়েছিল। সেবার তিনি পা হারিয়েছিলেন। পঙ্গু অবস্থায়ও জাম্বু থেমে থাকেননি। মহেশখালী ও সোনাদিয়া দ্বীপ সন্নিহিত সাগরে তাঁর লোকজনের খুব উৎপাত ছিল।

সোনাদিয়া দ্বীপের লোকজন জানিয়েছে, জাম্বু দ্বীপের আদি বাসিন্দা পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা প্রয়াত এখলাসুর রহমান ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। জাম্বুর দলে রয়েছে ৩০-৪০ জন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়