শুক্রবার , ৪ নভেম্বর ২০১৬ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মন্ত্রী ছায়েদুলের জবাবদিহিতা দাবি

Paris
নভেম্বর ৪, ২০১৬ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হককে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

একই সঙ্গে ‘নাসিরনগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থতা নেই’- উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করেন বক্তারা।

নাসিরনগরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোর বিচার হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে বিশেষ বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও দাবি জানান পরিষদের নেতারা।

আজ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের পাশাপাশি বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, সচেতন হিন্দু পরিষদ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ, জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, জাগো হিন্দু পরিষদ, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ, মহিলা ঐক্য পরিষদ, জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট, জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট, জাতীয় হিন্দু মহাজোট প্রভৃতি সংগঠনও মানববন্ধন করে।

গত ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামের এক যুবক পবিত্র কাবাঘরের ছবি সম্পাদনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার দিনভর নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পরদিন রোববার উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশ চলাকালে সদরের কয়েকটি মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়।

ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজল দত্ত ও নির্মল দত্ত বাদী হয়ে গত সোমবার নাসিরনগর থানায় দুটি মামলা করেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পুলিশ সদর দপ্তরের উদ্যোগে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঘটনার তিনদিন পর এলাকায় যান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। চারদিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই নাসিরনগর উপজেলার পশ্চিমপাড়ার দুটি ঘর ও দক্ষিণপাড়ার তিনটি ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে দুটি পাড়ার গোয়ালঘর ও রান্নাঘরে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সূত্র : এনটিভি

সর্বশেষ - জাতীয়