সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল গাজার যুদ্ধ বন্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইল ও হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন।
সোমবার ব্রাসেলসে একটি ইইউ বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বোরেল বলেন, ‘অনেকেই গাজার যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন… কিন্তু এখনও এটি সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি না, এটি শীঘ্রই সম্ভব হবে। তাই ইসরাইলি সরকার এবং অবশ্যই হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করা আমাদের দায়িত্ব’।
বোরেল এ সময় জানান যে, তিনি ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ সাময়িকভাবে স্থগিত করার জন্য ইইউ সদস্যদের কাছে প্রস্তাব রাখবেন। কারণ গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ পরিচালনা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে, তা বর্ণনা করার মতো শব্দ আমার জানা নেই। আমি আসলেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রায় ৪৪,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং অঞ্চলটি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যেখানে নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
বোরেল উল্লেখ করেন, ‘যদি আপনি নিহতদের বয়স বিশ্লেষণ করেন, তাহলে দেখবেন- সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা, বিশেষত ৯ বছরের কম বয়সিরাই’।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, আমার মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত আমি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জোর দিয়ে বলব যে, ‘শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থন দেখাতে হবে’।
লেবাননে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা
এদিকে লেবাননে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের দূত আমোস হোচস্টাইন বৈরুতে পৌঁছানোর কথা। তিনি হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
লেবাননের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসও জানিয়েছে, ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লাহর প্রতি যুদ্ধ বন্ধের বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে মামলা
একই সময়ে ইরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মার্কিন জিম্মিদের পরিবার। অভিযোগে বলা হয়েছে, তেহরান হামাসকে অর্থায়ন ও সমর্থন করেছে, যার মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর আক্রমণ পরিচালিত করে হামাস।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান প্রতি মাসে হামাসকে ৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদান করেছে এবং ইসরাইল ধ্বংসের জন্য অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোকেও উসকানি দিয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভিত্তিহীন দাবি করেছে ইরান।
সূত্র: যুগান্তর