সোমবার , ৩ জুন ২০২৪ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভারতের নাকের ডগায় গোপনে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন চীনের!

Paris
জুন ৩, ২০২৪ ১২:২৪ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের নাকের ডগায় গোপনে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে চীন। কিন্তু রাডারে ধরা না পড়ায় সাধারণভাবে বিমানগুলোকে অনুমান করাও সম্ভব নয়।

সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, সিকিম সীমান্ত থেকে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার দূরে চীন অধিকৃত তিব্বতের শিগাৎসে বিমানবন্দরে ৬টি অত্যাধুনিক জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চীন।

পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা সেনাঘাঁটি থেকে বিমানবন্দরটির দূরত্ব ২৯০ কিলোমিটারেরও কম। এই হাসিমারাতেই রয়েছে ভারতের দ্বিতীয় রাফাল বিমানঘাঁটি।

শিগাৎসে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সেই শহরেই রয়েছে বিমানবন্দরটি। সেখানে সারা বছরই জে-১০ যুদ্ধবিমান এবং কেজে-৫০০ বিমান রাখা থাকে। তবে, জে-২০ যুদ্ধবিমান এই প্রথম।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিমানবন্দরটির উচ্চতা ১২ হাজার ৪০৮ ফুট। বিমানবাহিনীর ঘাঁটির পাশাপাশি অসামরিক ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। সেখানে একটি ওয়াই-২০ মালবাহী বিমানও দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেনাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ওই বিমানের মাধ্যমেই সরবরাহ করা হচ্ছে।

গত ২৭ মে তোলা উপগ্রহে চিত্রে জে-২০ বিমান দেখতে পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে হরেক জল্পনাকল্পনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জে-২০ আধুনিক যুদ্ধবিমান। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৬৮ কিলোমিটার।

এগুলো বিশেষ ধরনের ‘স্টেলথ’ যুদ্ধবিমান, অর্থাৎ শক্তিশালী রাডার ছাড়া এগুলো ধরা পড়ে না। কূটনীতিকদের একাংশের দাবি, সম্ভবত ২৫০টির বেশি যুদ্ধবিমান ভারত সীমান্তের কাছে মোতায়েন করেছে চীন। কিন্তু রাডারে ধরা পড়ছে না।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মন্ত্রণালয় যে বিষয়টি জানে না, তেমনও নয়। ভারতে এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন চলছে। আগামী মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল। তার আগে হঠাৎ করে চীনের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

সচরাচর চীনের পূর্বাংশে জে-২০ যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত সীমান্তের এত কাছে এগুলো কেন মোতায়েন করা হল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। এর আগেও ২০২০ এবং ২০২৩ সালে শিনজিয়াং-এ দেখা গিয়েছিল এই বিমান। তবে এত বেশি পরিমাণে যুদ্ধবিমান এর আগে মোতায়েন করা হয়নি।

জে-২০ তে রয়েছে একাধিক সেন্সর। এমনকি, চীনের উন্নততম ক্ষেপণাস্ত্র (এয়ার টু এয়ার মিসাইল) বহন করতে পারে এই বিমান। তার মধ্যে রয়েছে পিএল-১৫ নামের দীর্ঘতম রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র, যা ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে।

২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষ, ২০২২ সালে তাওয়াংয়ের কাছে প্রকৃত সীমান্তরেখার কাছে ভারত এবং চীনের সেনার মধ্যে সংঘাত দেখা গিয়েছিল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার বেজিংয়ের বিরুদ্ধে সীমান্তে আগ্রাসন এবং ভারতের এলাকা দখলের অভিযোগ উঠেছে।

মাঝে কিছু দিন স্থিতাবস্থা বজায় থাকলেও অনেকেরই আশঙ্কা লোকসভা নির্বাচনে আবহে ফের ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সাজাচ্ছে শি জিনপিংয়ের দেশ। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ধীর গতিতে ভারতকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরতে চাইছে চীন।

গত পাঁচ বছরে তিব্বত-সহ ভারতের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে সে দেশ। গড়ে তুলছে নতুন বিমান ঘাঁটি। উন্নত করছে পুরনো ঘাঁটিগুলোও। নিয়মিত যুদ্ধবিমানের মহড়াও চলছে।

জে-২০ যুদ্ধবিমান রুখতে ভারতের ভরসা এখন রাফাল। ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান রয়েছে ভারতের, তার মধ্যে আটটি এখন আলাস্কায় আমেরিকার সঙ্গে মহড়া দিচ্ছে।

আরও ২৬টি রাফাল কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ভারত। হাসিমারায় ভারতের ১৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। তবে চীনের ‘মেঘনাদের’ সঙ্গে ভারতের ১৬টি রাফাল কতখানি পেরে উঠতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তবে সীমান্তের সুরক্ষায় কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না নয়াদিল্লি। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা মজুত রয়েছে পূর্ব ভারতে। ‘স্টেলথ’ যুদ্ধবিমানকেও চিনে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে এর। ফলে চীনের যুদ্ধবিমান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখে দিতে পারবে এস-৪০০।

বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ভারতের শত্রু হিসেবে বার বার পাকিস্তানের নাম করলেও চীন নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সে রকম কিছু বলতে দেখা যায়নি। যদিও এর আগে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সরকার সদা তৎপর।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক