বৃহস্পতিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভাঙনের পথে জার্মানির জোট সরকার?

Paris
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪ ৮:৫১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে জার্মানির তিন দলের জোট সরকার প্রায় তিন বছর পূর্ণ করেছে। একের পর এক সংকট, জোটসঙ্গীদের মধ্যে প্রকাশ্যে কোন্দল, ভোটারদের অনীহার মতো কারণে সরকার আরো এক বছর টিকে থাকতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন বারবার উঠছে। পরপর তিনটি রাজ্য নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের দায় নিয়ে সরকারের শরিক সবুজ দলের নেতৃত্ব যৌথভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের যুব শাখার নেতৃত্ব আরো এক ধাপ এগিয়ে পদত্যাগের পাশাপাশি দলত্যাগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শোলজের নেতৃত্বে জোট সরকারের দ্বিতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে গ্রিন পার্টির এই কড়া পদক্ষেপ জার্মানির রাজনীতি জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। দলের যুগ্ম শীর্ষ নেতা রিকার্ডা লাং ও ওমিদ নুরিপুর বুধবার বলেন, সবুজ দলের নতুন সূচনা প্রয়োজন। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি দলীয় সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন। দলের অন্যতম নেতা ও জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেক তাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।

সবুজ দলের নেত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, মানুষের আস্থা ফিরে পেতে কাজ করতে হবে। তবে আপাতত কোনো নেতাই জোট সরকার ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন না।

জার্মান অর্থনীতির বর্তমান সংকটের জন্য জার্মান রাজনীতি জগতের একাংশ সবুজ দলের পরিবেশবাদী নীতিকে দায়ী করছে। জীবাশ্ম জ্বালানি ত্যাগ করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের জন্য চাপের কারণে জার্মানির শিল্প ও বাণিজ্যজগতের ক্ষতি হচ্ছে বলে সবুজ দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।

ভোটারদের মনেও দলের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে।
চ্যান্সেলর শোলজের এসপিডি দলের অবস্থাও তেমন ভালো নয়। সরকারপ্রধান হিসেবে তার জনপ্রিয়তাও তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত সপ্তাহান্তে ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে অবশেষে এসপিডি দল আবার সাফল্যের মুখ দেখলেও সেই রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। এমনকি ২০২৫ সালে শোলজকে আবার চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করা হবে কি না, দলের মধ্যে সে বিষয়েও তর্কবিতর্ক চলছে।

জার্মানির জোট সরকারের সবচেয়ে ছোট শরিক এফডিপি দলের মধ্যেও সংকট দানা বাঁধছে। একের পর এক নির্বাচনে সেই দলও সমর্থন হারিয়ে চলেছে। ফলে জনপ্রিয়তা ফিরে পেতে দলের মধ্যে সরকার ত্যাগ করার দাবি বাড়ছে। দলের নেতা ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার অবশ্য ক্ষমতা ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না। দলের কিছু নেতা মনে করছেন, সরকার ত্যাগ করলে উদারপন্থী এই শক্তি জার্মানির রাজনৈতিক মঞ্চে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়বে।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক