সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে ঢোকার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শক্তিশালী দুইটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এই বিস্ফোরণেই ওই ব্যক্তি নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,দিনের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বিচারপতি এবং কর্মীরা নিরাপদে ভবন ত্যাগ করেছিলেন। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে তাকে শনাক্ত করা হয়নি।
ব্রাজিলের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্টের লেফটেন্যান্ট গভর্নর সেলিনা লেয়াও জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি প্রথমে কংগ্রেসের একটি পার্কিং লটে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটান। তবে এতে কেউ আহত হননি।
লেয়াও সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তার প্রথম পদক্ষেপ ছিল গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো। তারপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে যান এবং ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে তিনি ব্যর্থ হন। এরপর অন্যান্য বিস্ফোরণ ঘটান।’
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরিত গাড়িটি ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জায়ার বোলসোনারোর দল লিবারেল পার্টির এক সদস্যের ছিল ।
তবে লেয়াও বলেন, তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে গাড়ির মালিকই সেই ব্যক্তি কিনা যিনি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।
নতুন ঝুঁকি এড়াতে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন লেয়াও। সিনেট পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও, নিম্নকক্ষ দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার আর্থার লিরা।
লেয়াও সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি একাকী হামলাকারীর ঘটনা হতে পারে। আমরা এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনা করছি। কারণ সেখানে কেবল একজন নিহত হয়েছে। তবে তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে কি ঘটেছে।
ব্রাসিলিয়ার থ্রি পাওয়ারস প্লাজায় যেখানে সুপ্রিম কোর্ট, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রপতি প্রাসাদসহ ব্রাজিলের প্রধান সরকারি ভবন অবস্থিত। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং প্রায় ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইটি বিস্ফোরণ হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তখন পাশের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে ছিলেন না বলে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হোসে ক্রিসপিনিয়ানো জানিয়েছেন।
পুলিশ ওই এলাকা পুরোপুরি অবরোধ করে দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ব্যুরো প্রাসাদের চারপাশে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুপ্রিম কোর্ট ভুল তথ্যের বিস্তারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে এটি উগ্র-ডানপন্থী দল এবং বোলসোনারোর সমর্থকদের হুমকির লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরাস এই ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন