বুধবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব

Paris
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

রেমিট্যান্স সংগ্রহ বাড়ায় এবং আমদানি ব্যয় কমায় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যে কারণে ডলারের ওপর চাপ কমেছে। বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এর অন্যতম কারণ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, আগে দেশ থেকে যেভাবে টাকা পাচার হতো, এখন তা অনেকাংশেই কমে গেছে। যে কারণে বৈদেশিক লেনদেনে চাপ কমতে শুরু করেছে।

বুধবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সের বিপরীতে আমদানির দায় পরিশোধের অবদান বেড়েছে। গত অর্থবছরে আহরিত রেমিট্যান্স দিয়ে ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হয়েছে। এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে মেটানো হয়েছিল ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ওই বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে আহরিত রেমিট্যান্স দিয়ে ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হয়েছিল। ওই বছরে রেমিট্যান্স কমেছিল ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ।

গত ৫ আগস্ট নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়তে শুরু করেছে। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার। চলতি মাসের ১৪ দিনে এসেছে ১১৬ কোটি ডলার। এ হিসাবে চলতি রেমিট্যান্স গত মাসের চেয়ে বেশি আসবে বলে প্রত্যাশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আমদানির ওপর চাপ আরও কিছুটা কমবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। যে কারণে আমদানি ব্যয়ও কিছুটা কমছে। পাশাপাশি ডলারের প্রবাহ বাড়ায় আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন দেশীয় শিল্প খাতকে স্বাভাবিক করতে আমদানি বাড়াতে চাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত জুলাই-আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ায় এর সার্বিক স্থিতিতে ঘাটতিও কিছুটা কমেছে। চলতি হিসাবেও ঘাটতি কমতে শুরু করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স সংগ্রহে বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে তৃতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। ওই বছরে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার। একই সঙ্গে জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানও ধরে রেখেছে। ওই বছর রেমিট্যান্স জিডিপিতে ভূমিকা রেখেছে সাড়ে ৫ শতাংশ। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে রেমিট্যান্স আহরণ ও জিডিপির অবদানে ওই অবস্থান ধরে রেখেছে।

রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারত। তারা গত বছর ১১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। জিডিপিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নেপাল। দেশটির গত বছর আহরিত রেমিট্যান্স জিডিপিতে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ অবদান রেখেছে। পাকিস্তান ২ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। জিডিপিতে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ অবদান রেখে ধরে রেখেছে তৃতীয় অবস্থান। জিডিপিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে শীলংকা। দেশটির আহরিত রেমিট্যান্স জিডিপিতে ভূমিকা রেখেছে ৮ শতাংশ। ভারতের অবস্থান পঞ্চম। দেশটির আহরিত রেমিট্যান্স দিয়ে জিডিপিতে অবদান রেখেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য