নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে সবকিছুই অটোমেশন সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছি। এনালগ কোনো সিস্টেম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না। এই অটোমেশন সিস্টেম পুরোপুরি চালু করতে পারবল কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক সকল কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে। মোটকথা- আমরা রুয়েটকে একটি বিশ্বমানের ডিজিটাল একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি।’
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অধিকতর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হওয়ায় উপাচার্যকে সংবর্ধনা এবং অবসরপ্রাপ্ত ও নবাগত কর্মকর্তাদের বিদায়-বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ এসব কথা বলেন। রুয়েট অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিলীপ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন- রুয়েট অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মুফতি মাহমুদ রনি।
প্রধান অতিথির বক্তভ্যে রুয়েট উপাচার্য বলেন, আমরা রুয়েটকে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছি। শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিক শিক্ষা লাভ করে সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করতে পারে। সেই সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে তারা কাজ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রুয়েটের জন্য আলাদা অ্যাপ যুক্ত করতে যাচ্ছি। এই অ্যাপের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সকল শিক্ষার্থী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। আমরা আধুনিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। যেই লাইব্রেরিতে ক্যাটালগ সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বই, কাগজপত্র সংগ্রহ করে তাদের পড়ালেখা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে।’
উল্লেখ্য, রুয়েটের অধিকতর উন্নয়নের জন্য বেশ কিছুদিন আগে ৫৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প (সংশোধিত) পাস হয়। এই মেগা প্রকল্পের আওতায় ১৩টি ভবন নির্মাণ শুরু হয়েছে। যার ১১টি হবে ১০ তলাবিশিষ্ট ভবন। এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন ল্যাবে অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্ট স্থাপন করা হচ্ছে।
এএইচ/এস