শনিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের টানাপোড়েন বাড়ছে’

Paris
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪ ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে প্রায় ২৫ বছরে মিত্রতা থাকলেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

দল দুটির নেতারা সম্প্রতি একে অপরকে কটাক্ষ করছেন। রাজনৈতিক বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিচ্ছেন।

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বিপরীতে জামায়াত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে চাপ না দেওয়ার কথা বলছে।

রাজনৈতিক বিরোধীদের ক্ষমা নিয়েও দল দুটির দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আর অপ্রকাশ্যে চলছে বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজস্ব লোকের পদায়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে অবস্থান সুসংহত করা নিয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরোধও অনেকটা প্রকাশ্য। বিএনপির ধারণা, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে বেশি সমর্থন পাচ্ছে জামায়াত।

অবশ্য দু্’দলের কয়েকজন নেতা মনে করেন, মাঠে আওয়ামী লীগ না থাকায় গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা জরুরি।

নয়তো জাতীয় পার্টি যেভাবে আওয়ামী লীগের ‘গৃহপালিত বিরোধী দলে’ পরিণত হয়েছিল, সেই অবস্থার উদ্ভব হতে পারে।

আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে ১৯৯৯ সালে জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধে বিএনপি। ২০০১ সালে জোটবদ্ধ নির্বাচন করে সরকার গঠন করে। সম্পর্কে উত্থান-পতন হলেও জোট ভাঙেনি।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘বড় ইসলামী জোট গঠনের উদ্যোগ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ইসলামী ও সমমনা দলগুলো এবার একটি বড় জোট গঠন করে দেশের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

অভিন্ন উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে দলগুলোর নেতারা।

ইসলামী ও সমমনা কয়েকটি দলের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বেশির ভাগ ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

তাই ইসলামী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার তাগিদ অনুভব করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

তাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসলামী দলগুলো বৃহৎ জোট গঠন করলে রাজনীতিতে নতুন একটি শক্তির আবির্ভাব ঘটতে পারে।

নিজেদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকলেও ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার আলোকে রাষ্ট্র গঠনের অভিন্ন উদ্দেশ্যে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

‘ইসলামী জোট’ গঠনের তৎপরতায় কিছুটা এগিয়ে আছে শীর্ষস্থানীয় দুটি ইসলামী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের মতো পুরনো মিত্রদের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছে দল দুটি।

এ ছাড়া জাকের পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইনসানিয়াত বিপ্লবের মতো ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে তাদের।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Teesta water-sharing : Prof Yunus calls for urgent settlement’ অর্থাৎ, ‘তিস্তার পানি বণ্টন: জরুরি ভিত্তিতে নিষ্পত্তির আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনের জন্য ভারতের সাথে সমাধানের পথ বের, কারণ এতে দেরী করলে কোনো দেশেরই লাভ হবে না।

প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর ন্যায্য পানি বণ্টনের অধিকারের ওপর জোর দিয়ে বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিষ্পত্তি করা দরকার।

বাংলাদেশ পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও, তারা কতটা পানি পাবে সেটা জানা অন্তত অন্তহীন অনিশ্চয়তার চেয়ে ভালো বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “চাপ দেয়া বেশ কঠিন শব্দ… আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। কিন্তু এ সংকটের সমাধান করতে হলে আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে”।

২০১১ সালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি পানি বণ্টন চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল।

যাইহোক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজ্যে পানির ঘাটতির কথা উল্লেখ করে এটি অনুমোদন করতে অস্বীকার করার পরে চুক্তিটি স্থবির হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘পাচার ৯০ হাজার কোটির খোঁজে দুদক’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ২৯ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপির দেশের বাইরে পাচার করা প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের মধ্যে আটজন মন্ত্রী, ছয়জন প্রতিমন্ত্রী এবং ১৫ জন এমপি রয়েছেন।

দুদক সচিব বলেছেন, সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। কোন কোন দেশে কার কী পরিমাণ সম্পদ পাচার হয়েছে সেগুলোর খোঁজে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান রয়েছেন।

প্রতিবেদনে অভিযুক্তরা দেশের ভেতরে ও বাইরে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছে সেটার ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

এরমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির খবর নিয়ে ব্যাপক আলোচনাও হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘তখন ‘সাহস’ পায়নি, এখন তৎপর দুদক

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার আগে ৩১ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল।

কিন্তু পরিস্থিতির কারণে স্বাধীন দুদক তখন কিছু করার ‘সাহস’পায়নি। এখন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই সব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। ইতিমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুও হয়েছে।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী (এখন সাবেক) রয়েছেন ১১ জন। সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন ১৯ জন। এর বাইরে প্রয়াত একজন মন্ত্রীর ছেলেও রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছিল দুদক।

কিন্তু সরকারের দিক থেকে ‘ইশারা’না পাওয়ায় তখন কারও বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান শুরু করা হয়নি।

দুদকের তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের একটি নির্দেশনা রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির আয়ের উৎস, আর্থিক লেনদেন, ভিন্ন নামে করা সম্পদের তথ্য যাচাই, বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি করতে হয়। এই কাজটি ঠিকভাবে হচ্ছে না।

এর কারণ অনুসন্ধানের কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও অনেক ক্ষেত্রেই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এই অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব দুদক কমিশনের।

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Dengue hospitalisation, death rise amid inaction’ অর্থাৎ, ‘ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, নিষ্ক্রিয়তার কারণে বাড়ছে মৃত্যু’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ডেঙ্গু রোগীদের দৈনিক গড় হাসপাতালে ভর্তির হার গত মাসের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, যার ফলে সামনের মাসে রোগের সম্ভাব্য বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।

সেপ্টেম্বরের প্রথম ছয় দিনে, প্রতিদিন গড়ে ৩২৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যেখানে কিনা আগস্টে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গড়ে ১৪৫ জন।

কীটতত্ত্ববিদরা লক্ষ্য করছেন, কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এবারের বর্ষায় ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে।

তারা বছরের পর বছর ধরে প্রয়োগ করা কীটনাশক এবং কয়েক দশক ধরে স্প্রে পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

তাদের আশংকা সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এবং বৃষ্টির পানি কমে গেলে নভেম্বর পর্যন্ত রোগ বিস্তারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।

মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ডেঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, ঢাকা শহরের বাসিন্দারা বলেছেন যে গত কয়েক সপ্তাহে তারা খুব কমই মশা বিরোধী অভিযান দেখেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে পটুয়াখালীর পায়রা নদীর রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীরতা বাড়াতে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ছয হাজার কোটি টাকার বেশি। এর বেশির ভাগই নির্বাহ হয়েছে রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (বিআইডিএফ) থেকে নেয়া ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলারের মাধ্যমে।

খননের মাধ্যমে গত বছরের মার্চের মধ্যেই গভীরতা সাড়ে ১০ মিটারে উন্নীত করা হয়। কিন্তু এরপর প্রকল্পের খনন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই পলি পড়ে ভরাট হতে থাকে রাবনাবাদ চ্যানেলের তলদেশ।

খনন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট। আর সর্বশেষ ৫ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীরতা নেমে এসেছে সাত দশমিক তিন মিটারে। মাস শেষ হওয়ার আগেই তা সাত মিটারের নিচে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।

বর্তমানে এ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বড় জাহাজ চলাচলের জন্য চ্যানেলটির অন্তত ৮ দশমিক সাত মিটার গভীরতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ অবস্থায় দেশে ডলার সংকটের মধ্যেও চ্যানেলটি খননে বিআইডিএফের মাধ্যমে রিজার্ভ থেকে দেয়া ৫০ কোটি ডলারের পুরোটাই অপচয় হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘চাপে পদত্যাগ চাপে শিক্ষা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষকদের পদত্যাগের জন্য চাপ দেয় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানসহ অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। আবার অনেকেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

হামলার ঘটনাও ঘটেছে। কেউ কেউ ভয়ে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকছেন। স্বাধীনতার পর শিক্ষকদের এমন পদত্যাগ নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক পদত্যাগ না করাতে কড়া বার্তা দিলেও, তা থামছে না। দ্রুত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখছেন শিক্ষাবিদরা।

অবশ্য এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য বিগত সরকারের সময় দলীয় বিবেচনায় নিয়োগকেই দায়ী করছেন কেউ কেউ।

পদত্যাগী উপাচার্যরা জানান, তাদের বেশিরভাগ ছাত্রদের চাপের মুখে সম্মান বাঁচাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

নজিরবিহীন এ পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা, গবেষণাসহ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

দাপ্তরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়ার শঙ্কা দিয়েছে।

তবে আপদকালীন সমস্যা সমাধানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গা ও জান্তার অভিন্ন শত্রু আরাকান আর্মি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) বলেছে যে তাদের যোদ্ধারা একে অপরকে আক্রমণ না করার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে একটি ‘সমঝোতায়’ পৌঁছেছে, কারণ তাদের এখন পশ্চিম মিয়ানমারের প্রধান বিদ্রোহী শক্তি আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়ে যে, রয়টার্সকে দেয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে আরএসওর রাজনৈতিক বিষয়ের প্রধান কো কো লিন বলেছেন, জান্তা আমাদের আক্রমণ করছে না এবং আমরা তাদের আক্রমণ করছি না।

যখন তারা আমাদের আক্রমণ করছে না, আমরা কেন একই সময়ে দু’টি লক্ষ্যবস্তু করব? এটি প্রকৃতির দ্বারা বোঝা হয়ে গেছে। এর মানে আরাকান আর্মির সাথে আরএসও ও জান্তা লড়ছে একসাথে।

আরএসও এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি নেই, কো কো লিন বলেছেন, দুই পক্ষ আরাকান আর্মির সাথে লড়াই করার জন্য সহযোগিতাও করছে না।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা আমাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম এবং আমাদের নিজস্ব ব্যাজ নিয়ে লড়াই করছে এবং আমরা আমাদের নিজস্ব বন্দুক ব্যবহার করি।

কো কো লিন কতদিন ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে এ ধরনের ‘সমঝোতা’ হয়েছে তা বলেননি, তবে এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সীমান্তের মংডু শহরে আরএসও যোদ্ধাদের চলাচলের কথা উল্লেখ করে জানান, সেখানে জান্তা এবং আরএসও আরাকান আর্মির সাথে লড়াই করেছিল।

অবশ্য মংডু অবস্থিত রাখাইন রাজ্যের যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে রয়টার্স স্বাধীনভাবে কো কো লিনের বক্তব্য যাচাই করতে পারেনি।

এ ছাড়া মিয়ানমারের জান্তা টেলিফোন এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মন্তব্যের অনুরোধের কোনো জবাব দেয়নি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়