বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় জসিম উদ্দীন নামের একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি প্রায় দেড় লক্ষ টাকায় আপোষ-রফা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে ৭টি। যার অধিকাংশ ক্লিনিকের নিজস্ব ডাক্তার, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় নার্স নেই। ২/১টি ক্লিনিক ছাড়া অধিকাংশ ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি বেসরকারি এই ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রোগীর দেহে রক্ত সরবরাহের সময় প্রতিক্রিয়ায় তার মৃত্যুর এ অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার সনেকা বেগম (৪৭) নামের এক নারি জরায়ুতে অস্ত্রোপচারের জন্য শুক্রবার (১২ আগষ্ট) বাঘা স্থানীয় এক ক্লিনিকে ভর্তি হয়। স্বামী সন্তান না থাকায় তার ভাই কাচু মিয়া তাকে ভর্তি করেন। রাতে তার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। সেই মোতাবেক অপারেশনের আগে ক্লিনিকে তার দেহে রক্ত দেওয়ার কাজ চলছিল। এসময় কিছু রক্ত যাওয়ার পর পরই প্রতিক্রিয়ায় যন্ত্রণাকাতর হয়ে পড়ে সনেকা বেগম। অবস্থার বেগতিক দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ উপজেলা হাসপাতালে পাঠান। এই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সনেকা বেগমকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ভাই কাচু মিয়া।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ভেবে তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর দায়িত্বশীল কোন অভিভাবক না থাকায় জরুরি ভিক্তিতে তাকে রামেক হাসপাতালে নিতে পারেননি। পরে রোগীর মৃত্যু হয়। বাইরের সরবরাহ করা রক্ত মেসিক না হওয়ায় প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই চিকিৎসক।
সনেকার ভাই কাচু মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাঘার স্থানীয় ক্লিনিকের তত্ত্বাবধায়করা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে আপোষে রফার কথা অস্বীকার করেন। তবে অস্ত্রোপচারের জন্য রক্ত দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে রহস্যময় কারণে লাশের ময়না তদন্ত না করেই দাফন করা হয়েছে।
বিষয়টি জানানো হয়নি বলে সিল্কসিটি নিউজকে জানান, বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ।
স/অ