সোমবার , ৮ জুলাই ২০২৪ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাঘায় মসজিদে আযান দেওয়া কেন্দ্র করে হামলায় ঘটনায় গ্রেফতার ১

Paris
জুলাই ৮, ২০২৪ ৩:১৮ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে আযান দেওয়া কেন্দ্র করে হামলায় ঘটনায় ফজল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ফজল হোসেন আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক নের্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। মিঠুর ভাতিজা জিনারুল ইসলাম রোববার (৭ জুলাই) জোহরের নামাজের আযান দিতে মসজিতে যান। জিনারুল মাইকের মাউথ পিচ নিয়ে বসে আসেন, কিন্তু আযানের সময় পার হয়ে গেলেও আযান না দেওয়া ইমামের সাথে তর্কবিতর্ক শুরু করে। জিনারুল মসজিদের বাইরে এসে গালিগালাজ শুরু করে এবং ইমাম সামসুল ইসলামকে আক্রমন করতে যায়।

এক পর্যায়ে মসজিদে ইমাম মাইকে প্রচার করে মিজানুর রহমান মিঠুর লোকজন হামলা করতে এসেছে। এ কথা শুনে মসজিদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিক হোসেন এগিয়ে আসেন। এ সময় মিজানুর রহমান মিঠুর লোহার রড়, বাঁশের লাঠি, বালিট, হাসুয়া নিয়ে শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিকের উপর হামলা করে। এ হামলায় তারা গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সেলিম উদ্দিন বলেন, আবদুর রশিদ, ফজল হোসেন, মসলেম উদ্দিন, মিঠু দীর্ঘদিন থেকে মসজিদকে কেন্দ্র দ্বন্দ্ব ফ্যাসাত করে আসছে। সমাজের ১১০ পরিবার একত্রিত হয়ে তাদের সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে মসজিদে গিয়ে সময়ে অসময়ে দ্বন্দ্ব লাগায়।

মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু বলেন, তারা এককভাবে সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে চায়। প্রতিবাদ করায় তারা একত্রি হয়ে আমাদের কয়েকঘরকে সমাজ থেকে আলাদা করে রেখেছে। আমার ভাতিজা আযান দিতে গেলে তারা আযান নিদে বাধা দেয়। এ দিয়ে ইমামের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম সামসুল ইসলাম বলেন, আমি বাইরে থেকে এখানে এসে ইমামতি করি। যখন তখন এসে সময় হওয়ার আগে জিনারুল মসজিদে এসে আযান দেয়। এ নিয়ে নিষেধ করায় আমাকে আক্রমন করে। আমি বাধ্য হয়ে মাইকে প্রচার করলে দুই সদস্য এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাতে প্রেরণ করা হয়েছে। #

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর