বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় সাগরিকা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নিজ শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
তরে বিয়ের দুই মাসের মাথায় কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা বলতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। সাগরিকা খাতুন আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের জারমান আলীর স্ত্রী। পুলিশ গৃহবধূর শশুর ও শ্বাশুড়িকে আটক করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন জারমান আলী। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে কথাবার্তা বলে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যান স্বামী জারমান আলী।
বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের ভেতর থেকে ঘরের দরজা লাগানো। জারমান বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন, তীরের সাথে ঝুলছে স্ত্রী সাগরিকা। পরে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা জানার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে পুঠিয়া থানার পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও মাতা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করেছেন।
সাগরিকার পিতা আবদুল গাফফার দাবি করেছেন মেয়েকে হত্যা করে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে প্রচার করছে তারা। এর তদন্ত করে সুষ্ট বিচার দাবি করেন। আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড় সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ঘটনাটি জানার ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। মারা যাওয়া বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোয়েব খান বলেন, এ বিষয়ে মরদেহ(লাশ) সুরতহাল রির্পোটের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ(রামেক) হাসাপতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুঠিয়া থানার পুলিশ দুইজনকে আটক করে থানায় রেখেছেন। এ বিষয়ে সাগরিকার পিতা আবদুল গাফফার বাদি হয়ে মামলা করেছে।