নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাগমারায় ৮ ঘন্টার ব্যাবধানে পৃথক দুইটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত এই দুইটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে বাগমারার উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের রঘুপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনকে (২৮) তার স্ত্রী খুশি বেগম বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ও উপজেলার শিয়ালি গ্রামের মিঠু আলীর তার স্ত্রী তহমিনাকে (৩৮) কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে সাজ্জাদ হোসেন ও তহমিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, উপজেলার শিয়ালি গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে মিঠু আলী ও উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের রঘুপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী খুশি বেগম।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় খুশি বেগমের সঙ্গে নিহত সাজ্জাদের। খুশি বেগমের বাবার বাড়ি মোহনপুর উপজেলার তাঁতিপাড়া গ্রামে।
খুশি বেগম সম্প্রতি মোবাইলে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। এ নিয়ে তাদের সংসারে প্রাায় বিবাদ লেগে থাকে। এরই জের ধরে গত ঈদের কয়েকদিন আগে খুশি তার বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে ঈদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন গিয়ে খুশিকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার রাত দুইটার দিকে স্বামী সাজ্জাদ হোসেনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন বলে খুশির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলান পারিবারের লোকজন। পরে আজ শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসী খুশিকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন, বলেন, স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে খুশিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকা- ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করার পরে জানা যাবে।
এদিকে, বাগমারা হাটগাঙ্গপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ নাইমুল হক জানান, পারিবারিক কলোহের জের ধরে শনিবার সকাল দিকে মিঠু আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী তহমিনার কথাকাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে আবেদ আলী কোদাল নিয়ে এসে তহমিনার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মিঠুকে আটক করে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতের স্বামী মিঠুকে আটক করে।
স/আ