সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে নিজস্ব অর্থায়নে এআই হাব করতে চায় কোরিয়া। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সাথে সাক্ষাৎকালে কোরিয়া অ্যাম্বাসীর বাণিজ্য প্রতিনিধি স্যামসু কিম এবং অ্যাকোট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড কিম এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্যামসু কিম বলেন, ‘বাংলাদেশে অনলাইন ন্যাশনাল ট্যাক্স সিস্টেম, ই-কাস্টমস ক্লিয়ারিং সিস্টেম, ন্যাশনাল ল্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, ই-ট্যাক্স সিস্টেমে বাংলাদেশের সাথে কোরিয়া যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী, তাই তাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি বিকাশে অনেক কর্মক্ষেত্র তৈরি করা প্রয়োজন।’
অ্যাকোট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড কিম এটুআই এ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলে উপদেষ্টা বলেন,‘বর্তমানে এটুআই ইউএনডিপির অর্থায়নে চলছে। এ বছর ডিসেম্বরে এটুআইয়ের সঙ্গে ইউএনডিপির চুক্তি শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি সেক্ষেত্রে এটুআইয়ের সঙ্গে এডওয়ার্ড কিমকে আলোচনায় জন্য বলেন।
পাশাপাশি জনতা টাওয়ার তৈরির বিষয়েও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য পরামর্শ দেন।
স্যামসু কিম বলেন, ‘বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ লোকবল থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীর অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশী তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী বানাতে আগ্রহী।’ এর বাইরে তিনি ন্যাশনাল ইনফরমেশন প্রজেক্টের বিষয়েও উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন প্রজেক্ট (এনআইপি) একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে আমাদের সবার জন্য। যেহেতু এটা একটি জাতীয় নীতির বিষয়। তাই সরকার থেকে এই নীতি আমরা গ্রহণ করব কিনা সেটি স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পারস্পারিক দ্বি-পাক্ষিক বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাসের মাধ্যমে আলোচনা শেষ হয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ