সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বারের বন্যায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহত হয়েছে ১১৫জন। আর বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
৩১টি জেলার মোট ১৭৬টি উপজেলার ৪৩টি পৌরভার ও ১৩১৭টি ইউনিয়নের এসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “এখন সারা দেশে ৬৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৯০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।”
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলার তথ্য জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, “কুড়িগ্রামে আজ ২৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৯০ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করেছি।”
বন্যায় মৃতদের মধ্যে দিনাজপুরে ৩০ জন, কুড়িগ্রামে ২০ জন, লালমনিরহাটে ৬ জন, নীলফামারীতে ৮ জন, সুনামগঞ্জে ২ জন, নেত্রকোণায় ২ জন, গাইবান্ধায় ১১ জন, সিরাজগঞ্জে ৫ জন, জামালপুরে ১০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জন, নওগাঁয় ৪ জন, যশোর ৩, শেরপুর ৩ জন, মৌলভীবাজার ২ জন, বগুড়ায় ৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, রংপুরে ৩ জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, রাঙামাটি, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, শেরপুর নাটোর ও ঢাকা জেলা এখন বন্যা কবলিত।
বন্যায় সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতি:
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ টি পরিবার
দুর্গত জেলাগুলোতে ৪৩ হাজার ৩২২টি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
৭৫৬১টি হাঁস-মুরগি মারা গেছে
২৮৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
বন্যায় ২২৫টি ব্রিজ ও কালভার্টে এবং ১৭০ কি.মি.বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর