বৃহস্পতিবার , ৬ জুন ২০২৪ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বগুড়ার তিন উপজেলায় সিরাজী-সনি ও রানা নির্বাচিত

Paris
জুন ৬, ২০২৪ ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে বগুড়ার শেরপুরে শাহ জামাল সিরাজী, ধুনটে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল সনি, ও নন্দীগ্রামে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে একটানা ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রত্যক্ষ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটে অংশগ্রহন করে ভোটাররা।

মঙ্গলবার রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচনী ডিউটি পালন করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহিদুল ইসলাম (৫৮) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জেলার দুপচাঁচিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে বগুড়ার শেরপুর, ধুনট ও নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ২১ জন আটক করা হয়। এর মধ্যে নন্দীগ্রামে ৯জনকে আটকের পর প্রত্যেককে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শেরপুরে ৬জন ও ধুনটে ৬জন আটকে করে তাদেরকে নির্বাচন শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া অন্য কোন কেন্দ্রে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলাগুলোর মধ্যে বুধবার রাত ১২টার দিকে বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন শেরপুর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহ জামাল সিরাজী। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সুলতান মাহমুদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৫১ ভোট। নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান পদ থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলেন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ মজিবর রহমান মজনু বিধি মোতাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করার পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এ ছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন নুরে আলম সানি। তিনি তালা প্রতিক নিয়ে ২৭ হাজার ৫০৯। সে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তাজুল ইসলাম কিরণ টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ১৯ হাজার ২৮২ ভোট পেয়েছেন।

নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাতি হয়েছেন শিখা খাতুন। তিনি হাঁস প্রতিকে ৩১ হাজার ৮৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফাতেমা খাতুন ময়না কলস প্রতিক নিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়েছে। এ উপজেলায় মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৮১ হাজার ৯২৬টি। আর বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৯। ভোটের হার ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

ধুনট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মুহম্মদ আসিফ ইকবাল সনি। তিনি আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি টি আই এম নুরন্নবী (ঘোড়া) প্রতীকে ৩৪ হাজার ৩৬২ এবং উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক হওয়া চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আশিক খান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইকবাল হোসেন রিপন (তালা) ৪৩ হাজার ৬৪৮ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি চপল মাহমুদ (টিউবয়েল) পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৭৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুলতানা জাহান (সেলাইমেশিন) ৩১ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেবেকা সুলতানা রেবা (ফুটবল) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭০৩ ভোট। ধুনট উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩২৪। ভোটের হার ৩৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

নন্দীগ্রামে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মোট পেয়েছে ৪১হাজার ৩৭৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে মোট ২৮ হাজার ৫১ ভোট পেয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত। তিনি মাইক প্রতীক নিয়ে মোট ৩৬ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভ আহম্মেদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রাবণী আকতার বানু। তিনি হাঁস প্রতীক নিয়ে মোট ৩৯ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়েছে । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খালেদা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ২৯ হাজার ৩১৬ ভোট।

বুধবার রাতে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির। এ উপজেলার ৪৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৭০ হাজার ৬৯১ জন ভোটার। ভোটের হার ৪৪ দশমিক ৯৭। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৯০ জন।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর