রবিবার , ২৬ মে ২০২৪ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বগুড়ায় জোরপূর্বক জমি খনন করে বেদখলের চেষ্টা

Paris
মে ২৬, ২০২৪ ৬:২৭ অপরাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় আবাদি জমিতে স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে খনন করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে কতিপয় প্রভাবশালীরা। ‘দখলকৃত জমিতে নদী খননের বালু রেখে কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করবে’ওইসব অবৈধ ব্যবসায়ীরা। তাদের ক্ষমতা ও হুমকী ধামকির দাপটে অসহায়ত্ব ও জানমানের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ভূক্তভোগীরা।

এর ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৬ মে রবিবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা আলাদি গ্রামে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকেরা। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে প্রভাষক আব্দুল হান্নান সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীকৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গালী নদীর সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা আলাদি এলাকায় অংশে সরকারি ভাবে বাঙালী নদী খননের কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে। নদী খননের উত্তোলনকৃত বালু নদীর দুধারে রাখার কথা। কিন্তু ওইসব বালু সেনাবাহিনীর নদী খনন প্রকল্পের দায়িত্বরতদের কাছ থেকে গোপনে কিনে নিচ্ছে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা।

এর পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সুঘাট ইউনিয়নের সিন্ডিকেট মাটি ও বালু ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হান্নান(প্রভাষক, জয়লা জুয়ান ডিগ্রী কলেজ) নেতৃত্বে সাতারা গ্রামের রব্বানী শেখের ছেলে শিপন মিয়া, জয়লা আলাদি গ্রামের মোজাফফর আলীর ছেলে রাশেদ খাঁন, আমজাদ খাঁর ছেলে আব্দুল হান্নান খাঁ, মকবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে হালিম তালুকদার, জোড়গাছা গ্রামের মো. মনসের আলীর ছেলে নান্টু মিয়া সহ বেশ কয়েকজন নদী খননে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সাথে যোগসাজষে সেই বালু নদী থেকে ৪০০ গজ দক্ষিন-পশ্চিম পাশে গরীব কৃষকের তিন ফসলি জমিতে রাখার পায়তারা করছে। ইতিমধ্যে জমির মালিকদের না জানিয়েই জমিতে স্কেভেটর দিয়ে খোড়াখুড়ি শুরু করে দিয়েছে। এতে করে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা। খোড়াখুড়ি কাজে ভুক্তভোগীরা বাধা প্রদান করলে তাদের নানা রকম হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে প্রভাবশালীরা। এরই প্রতিবাদে ২৬ মে রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষকরা মানববন্ধন করে। পরে একইদিন দুপুরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক শুশান্ত কুমার পাল, আবু ছালাম, আব্দুস সোবহান, মো. রাসেল ও আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা গরীব কৃষক, জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। জয়লা আলাদি মৌজার ওই এলাকায় আমাদের ১৬৩ শতক ৩ ফসলি জমি রয়েছে। সেখানে বালুদস্যুরা আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা করার জন্য আমাদের না জানিয়ে স্কেভেটর দিয়ে জমি খোড়াখুড়ি করছে। এতে আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব। সেই সাথে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। বালুদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এ বিষয়ে মাটি ও বালু ব্যবসার কাজে জড়িত প্রভাষক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বাঙালি খননের প্রকল্প সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগের। আমরা শুধু বালু কিনে নিয়ে ব্যবসা করবো’ বালুগুলো রাখতে যেহেতু ২০/২৫ বিঘা জমি প্রয়োজন। সেহেতু জমির মালিকদের ফসলের অনুকুলে বছর সালে অর্থ দিয়েই জমি সংগ্রহ করা হচ্ছে।’ তবে কেউ না দিলে জোর করে নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ ডাহা মিথ্যা কথা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদীকে বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর