সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
গত বছর বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রায় আট মাস পর ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১ মার্চ। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এই হোম সিরিজের আগে নেই কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ। কিছু অনুশীলনের সেশনই থাকছে প্রস্তুতির ভরসা হিসেবে। ম্যাচ খেলার অভাবটা থেকেই যাচ্ছে।
অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচের এই ঘাটতি নিয়ে খুব একটা ভাবিত নন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার মতে, ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ছাড়া সবাই কম বেশি খেলার মাঝে আছে। হোক সেটা টেস্ট বা টি-২০। গতকাল বিকেএসপিতে তিনি বলেছেন, ‘সবাই খেলার মাঝেই আছে। আশা করি খুব একটা সমস্যা হবে না।’
মাশরাফি সর্বশেষ বিপিএল খেলেছিলেন। গত কিছুদিন আবার ওয়ানডে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বোলিংটাও শুরু করেছেন তিনি। সব জল্পনাকল্পনা ছাপিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন মাশরাফিই।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হতে পারে। হোম সিরিজের দলটা হতে পারে ১৪ সদস্যের। মিরপুরে টেস্ট চলাকালীনই ওয়ানডে দলের অনুশীলন শুরু হবে। একইভাবে সিলেটে ওয়ানডে সিরিজ চলা অবস্থায় মিরপুরে টি-২০ দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলন করবেন।
লম্বা বিরতির পর খেলতে নামলেও ওয়ানডে দলে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘অত বেশি পরিবর্তনের কিছু তো নেই।’ ব্যাটিং, পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে বেশ নির্ভার বাংলাদেশ। স্পিন বিভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তার কারণ রয়েছে। যদিও জিম্বাবুয়েকে ঘায়েল করতে বহু বছর ধরে বাংলাদেশের পরীক্ষিত অস্ত্র স্পিন।
সাকিব আল হাসান না থাকায় বাঁহাতি স্পিনে বড়ো শূন্যতা রয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনও আজকাল কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পারছে না। তাই অফ স্পিনার হিসেবে নাঈম হাসানের দিকে ঝুঁকছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজের নিষ্প্রভতা অব্যাহত থাকলে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে দলে ডাক পেয়ে যেতে পারেন নাঈম।
লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও থাকতে পারেন দলে। বাঁহাতি স্পিনে তাইজুল ইসলামের পাশাপাশি নির্বাচকদের নজর আছে সানজামুল ইসলামের দিকে। ক্যারিয়ারে ৩টি ওয়ানডে খেলে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেই, মিরপুরে। বল হাতে এখন ভালো ছন্দেই আছেন সানজামুল। বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে দুই ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে বিপিএলে ৮ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সি এই স্পিনার।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে পাওয়া যাবে এই সিরিজে। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন না তিনি। আল আমিন হোসেনও আছেন দলে ফেরার দৌড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ণ ছন্দে বোলিং শুরু করতে পারবেন তিনি। এছাড়া মাশরাফি, মুস্তাফিজ, শফিউলরা তো আছেনই। স্পিনে কিছুটা ঘাটতি থাকায় ওয়ানডেতে পেসারদেরই বড়ো দায়িত্ব নিতে হবে।