মঙ্গলবার , ২৭ আগস্ট ২০২৪ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রতি সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছুড়লেও শেষ হতে লাগবে পাঁচ বছর, বলেছিলেন আরাফাত

Paris
আগস্ট ২৭, ২০২৪ ৯:১০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

তখন দেশ উত্তাল। মারা গেছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার জনতা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তখনও মরিয়া শেখ হাসিনার সরকার। পেটুয়া পুলিশ বাহিনীকে গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার প্রমাণ যাত্রাবাড়ি, চাঁনখারপুল, উত্তরা, মিরপুর-১০, রংপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে নানা হুমকি-ধমকিতে ব্যস্ত ছিলেন তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মধ্যে তিনি বলেছিলেন, সরকার যদি প্রত্যেক সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছোড়ে, তারপরও পাঁচ বছর লাগবে শেষ হতে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থেকে আরাফাতকে আটক করা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আরাফাত বেশ কিছু মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন। কী ছিল তার সেসব বক্তব্যে? চলুন, দেখে নেওয়া যাক।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালাচ্ছিল, তখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে—রাবার বুলেটের যোগান শেষ হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিষ্ঠিত এই কথাকে নাকচ করে দিয়ে ২১ জুলাই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বলেছিলেন, সরকার যদি প্রত্যেক সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছোড়ে, তারপরও পাঁচ বছর লাগবে শেষ হতে; এতো স্টোরেজে আছে, বলে দিচ্ছি আপনাদের (সাংবাদিকদের)।

১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আন্দোলনে পুলিশের গুলির সামনে দুই হাত প্রসারিত করে নিজের বুক পেতে দেন আবু সাঈদ। পরে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদের আইকনে পরিণত হন তিনি। তারপর থেকে প্রতিটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে জনতা যোগ দিয়ে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। নড়ে ওঠে স্বৈরশাসকের মসনদ।

২২ জুলাই। তখন আন্দোলন তুঙ্গে। এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। ওই বৈঠকে নিহত আবু সাঈদ প্রসঙ্গকে পরোক্ষভাবে তুলে ধরে আরাফাত বলেন, প্রমাণও পাওয়া গেছে, আন্দোলনকারীদের অনেকে, দে ওয়ার ড্রাগড। তাদের ড্রাগ করা হয়েছে। যেন তারা বুক পেতে পুলিশের সামনে চলে আসতে পারে।

পরে এই আরাফাতই বলেছিলেন, আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে। তারা যে দাবি করেছে, সরকারও সেই একই দাবিতে আগেই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেছে।

অথচ যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা ধীর পায়ে শান্তি বজায় রেখে এগোচ্ছিলেন, তখন তাদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে ১৩ জুলাই মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছিলেন, ছাত্রদের যে দাবি—হাইহোর্টের রায় বাতিল করে আগের রায় বহাল রাখতে হবে, আদালতের রায়ে তা পূরণ হয়ে গেছে। এখন আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়