রবিবার , ২১ মে ২০১৭ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা, এক মাস পর থানায় মামলা

Paris
মে ২১, ২০১৭ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ মাস ব্যাপি আপস মীমাংসা করতে ব্যর্থ হলে এক মাস পর ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি ধর্ষন চেষ্ঠার মামলা দায়ের করেন।  মামলা নং-২৫/ ২১ মে ১৭।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে জনৈক ব্যাক্তির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ুয়া (৯) স্কুল ছাত্রী বাড়ীর পার্শে একটি ফাঁকা যায়গায় খেলাধুলা করছিল। সেই সুযোগে উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে কামরুল হাসান (২৫) টাকার লোভ দেখিয়ে পার্শেই একটি নির্মানাধীন বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। পরে মেয়েটির আত্মচিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে কামরুল হাসান পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কয়েকবার শালিশ বৈঠক করে মীমাংশার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে ভুক্তভুগি মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আজ ২১ মে রবিবার সকালে পুঠিয়া থানায় হাজির হয়ে কামরুল হাসানকে আসামী করে একটি ধর্ষন চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভুগি স্কুল ছাত্রীর বাবা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, অনেক দিন থেকেই কাজের সুবাদে তিনি ও তার স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করেন। তার ৯ বছরের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী তার নানীর কাছেই থাকতেন গত ২০ এপ্রিল দুপুরে টাকার লোভ দেখিয়ে কামরুল হাসান তার মেয়েকে একটি নির্মানাধীন ঘড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করলে মেয়েটির আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে কামরুল পালিয়ে যায়। শোনার পর তিনি ঢাকা থেকে বাসায় এলে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাটি মীমাংসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

এব্যপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রাকিবুল হাসান জানান, এ ব্যপারে অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নিয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর