রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পানির সাথে কমছে মাছের দাম; সবজির বাজার চড়া

Paris
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬ ২:০৮ অপরাহ্ণ

তারেক মাহমুদ :

রাজশাহীতে এ সপ্তাহে কমেছে মাছের দাম। মাংসের দাম স্বাভাবিক। তবে চাহিদার সাথে বাড়তে শুরু করেছে সবজির দর। ঈদের পর ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত নগরীর কাচাসবজির বাজারগুলো। রোববার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র।

নগরীর সাহেব বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে কাচা সবজির দাম।তবে বাজারে পর্যাপ্ত সবজির যোগান রয়েছে বলে জানা গেছে।

সবজি বিক্রেতা সিদ্দিকহোসেন জানান, গত সপ্তাহের থেকে সবজির দাম একটু বেড়েছে। কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪-৫টাকা।বর্তমানে প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। কচুর লতি ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা,  আলু ১৮ টাকা, শশা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা,পটল ২৫ টাকা এবং মুলা ২৫  টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কুরিকচু ৩০ টাকা, সজনে ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০ টাকা,   এবং লেবু প্রতি হালি ৮ থেকে ১০ টাকা ঝিঙ্গা ৩০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে নতুন সবজি ফল পানি ফল ও জলপাই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা। তবে সবজির দাম একটু বেশি বাড়লেও গাজরও টমেটোর দাম লাফিয়ে বেড়েছে ১২০ টাকা।যা ঈদের আগেও ছিল ৮০ টাকা।

বাজারের মুদি ব্যবসায়ী হাসান জানিয়েছেন, বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি  পেঁয়াজ ৩৫  টাকা, ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৫ টাকা,রসুন ১৮০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, কাচাঁ মরিচ ৮০ খেকে ১০০ টাকা।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি ১০০গ্রাম ২৪ টাকা ,হলুদ ১৮ টাকা, জিরা ৪০ টাকা, ধনিয়া ১৮ দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাক ব্যবসায়ী ‍জামাল শেখ জানান, কুরবানী ঈদের পর থেকেই শাকের দাম কেজি প্রতি একটু বেশি বেড়েছে।মাংসে এক ঘেয়েমী দুর করার জন্য শাকের উপর চাহিদা বেড়েছে ক্রেতাদের।বর্তমানে প্রতি কেজি লাল শাক ১৮ টাকা, কলমি শাক ২৫ টাকা,  লাউ শাক ২০ টাকা, ডাটা শাক ২০ টাকা, কচু শাক ২০ টাকা, সবুজ শাক ২০ টাকা এবং পুই শাক ২০ থেকে টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আমদানি কম থাকায় তুলনামূলকভাবে ডালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা হারে। ডাল ব্যাবসায়ী সাখাওয়াতবলেন, এ সপ্তাহে ডালের আমদানি একটু কম তাই দাম একটু বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি  মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫  টাকা, কলাই ডাল ৮৫থেকে ১২০ টাকা, ছোলা ডাল ১২৫ টাকা, ‍খেসারি ডাল ৭৮ থেকে ৬৫ টাকা, মটর ডাল ১৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা,  চাল ৪০ টাকা খেকে ৪৫ টাকা,  তেল ৮৫ টাকা, লবন ৪০ টাকা, ময়দা ২৪ টাকা,পোলাও চাল ১০০টাকা, খোলা তেল ৮০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ব্যপক মাছ আমদানী হচ্ছে বলে জানান মৎস ব্যবসায়ীরা।তাদের মতে নদীর পানি কম থাকায় জেলেরা মাছ ধরে এবং সেগুলো বাজারজাত করতে পারছেন। ফলে আমদানী বেশি হওয়ায় মূল্য কম পেয়ে একদিকে যেমন খুশি ক্রেতারা অন্যদিকে ভালো দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট বিক্রেতারা।

নগরীর সাহেব বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতা শফিকুল ইসলাম অভি বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে মাছের দাম অনেক কমেছে ।আমার বাসার সবাই নদীর মাছ থেতে পচ্ছন্দ করে তাই আমাকে বেশির ভাগ নদীর মাছ কিনতে হয় ।ভাবছি আজ দাম কম থাকাই বাসায় নদীর মাছ একটু বেশি করে কিনে নিয়ে যাবো।

মাছ বিক্রতা রবিউল ইসলাম বলেন,নদীর পানি কমায় এ সপ্তাহে মাছের আমদানি একটু বেশি  ফলে নদীর মাছের দাম কমেছে।  পুকুর জলাশয়েও পানি কমায় জেলেরা বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরছে। ফলে মাছ আমদানি একটু বেশি হচ্ছে। আর আমদানি বেশি থাকায় মাছের দামও একটু কম। তবে পানি কমতে থাকলে মাছ আরো বেশি ধরা পড়বে ও আমদানি বেশি হবে।

বাজারে বর্তমানে কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০টাকা, চিতল ৬০০, রুই ২০০ থেকে ২২০ টাকা,  সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকা,পাঙ্গাস ১১০ থেকে  বাটা ১২০ টাকা,  টেংরা ৪০০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ৫০০ও হাইব্রিট কই ১৫০ টাকা, শোল মাছ ৪৫০ টাকা, মৃক্রা ২৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৫০ টাকা এবং মিরর কার্প ১৭০ টাকা তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নদীর বড় চিংড়ি৬০০ টাকা ও ছোট চিংড়ি ৩২০টাকা, পিউলি মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়,। চাঁদামাছ ১২০ টাকা, কাঁকলে ২০০ টাকা,  কাটাপাতাসি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ঢেড়ে মাছ ৫০০টাকা,পাবদা ৫০০টাকা,বেলে ৪০০টাকা, বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বাছা মাছ ৬০০ এবং রিঠা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়াও  পুটি মাছ ১৬০খেকে ১৮০ টাকা, মায়া মাছ ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা, গুচি মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারে এ সপ্তাহে কমেছে,পদ্মার ও বরিশালের বড় আকারের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০  টাকা । আর মাঝারী ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

সাহেববাজারে মাছ কিনতে আসা হ্যাপি বেগম বলেন, অন্য মাছ আজ একটু কম কিনেছি, বাসা থেকেই জানতে, পেরেছিলাম ইলিশের দাম কম, তাই দুই কেজি ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ইলিশের দাম এই রকম থাকলে মাছে ভাতে বাঙ্গালিয়ানার রুপ আবারো দেখা যাবে।

 

স্বাভাবিক আছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় মূল্যের তেমন কোন বিস্তার দেখা যায়নি এ সপ্তাহে। মরগি ব্যবসায়ী সবুর  জানান, গত সপ্তাহের মত  এ সপ্তাহেও মুরগির দাম একই আছে। বর্তমানে সাদা কক বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, ব্রয়লার ১২৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০, সোনালি মুরগি ২০০ টাকা , লেয়ার মুরগি ১৮০ এবং হাঁস ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারে বর্তমানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে।

স/তা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর