সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল ধানমন্ডির বাসা থেকে বের হয় তাজ-উল-হক রাশিক।
জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে নিখোঁজরা বাবা-মা সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলেও রাশিক ছিলো এর ব্যতিক্রম। নিয়মিতই ফোন দিয়ে বাবা রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতেন। পরিবারের অন্যান্যদের ফোন দিয়ে অসুস্থ্য বাবা-মার খোঁজ নিতেন।
কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির একজন রাশিক।
রাশিকের পরিবার জানায়, পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের কারণে তারা থানায় কোনো নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেনি।
পরিবারের দাবি, রাশিক নিয়মিত নামাজ পড়লেও সে যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এটা কখনো টের পায়নি পরিবার।
ছেলের এমন জঘন্য অপরাধে জড়িয় পড়ায় অনুতপ্ত রাশিকের বাবার বরাত দিয়ে পরিবার জানান, ছেলের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থী। তবে যারা রাশিককে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে, যারা রাশিকের মতো কোমলমতি ছেলেদের জঙ্গি বানিয়েছে, তাদেরও বিচার দাবি করেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাশিক ১৯৯০ সালে আমেরিকায় জন্ম গ্রহণ করে। জন্মসূত্রে রাশিক আমেরিকার নাগরিক। দু’ ভাইয়ের মধ্য রাশিক ছোট। আর বড় ভাই রাজিব প্রকৌশলী।
জানা যায়, রাশিক মাস্টার মাইন্ড থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করে ভর্তি হন নর্থ সাউথ বিশ্বিবদ্যালয়। গত বছর ডিসেম্বরে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ত্রিপল ই) বিভাগ থেকে সে স্নাতক শেষ করেন।
কয়েক মাস বাসায় থাকার পর চলতি বছরের ৬ এপ্রিল চাকরির কথা বলে বাসা থেকে নিখোঁজ হন রাশিক।
শনিবার (জুলাই ৩০) রাশিকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ধানমন্ডির ১১ নম্বর রোডের ৭২ বাসায় গেলে এ বিষয়ে তার পরিবার কোনো কথা বলবে না বলে জানান। পরে বাসার দারোয়ানের মাধ্যমে ফোন নম্বর নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে।
ওই বাসার দারোয়ান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিয়মিত নামাজ পড়তো রাশিক। কখনো বুঝতে পারিনি ছেলেটি এমন কার্যক্রমেরর সঙ্গে জড়িত।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি-তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, পরিবার থেকে কোনো জিডি না করায় রাশিক নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশ জানতো না।
সূত্র: বাংলা নিউজ