শুক্রবার , ৩০ অক্টোবর ২০২০ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

“নো মাস্ক, নো সার্ভিস” সেটি যেন উপেক্ষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে

Paris
অক্টোবর ৩০, ২০২০ ৮:০২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

নভেম্বরে শীতে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সেই দিক লক্ষ্য রেখে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে মাস্ক পড়ে চলাচল করতে। “নো মাস্ক, নো সার্ভিস” সেটি যেন উপেক্ষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে, মাস্ক না পড়ার হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাত্র ৫ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে।

দিনের দিন অফিস-আদালত, ব্যাংক, মার্কেট, খাবার হোটেল, কাঁচাবাজার, ক্লিনিক সবখানেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা কমে আসছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নেয়া উদ্যোগ কোন কাজে আসছে না। মাস্ক না পড়ায় দিনদিন এ জেলায় করোনা পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থানে যেতে পারে এমন ধারণা সচেতন মহলের।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা -উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন মসজিদে, রাস্তাঘাট, নিউমার্কেট ও ক্লাব মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মাস্ক ব্যবহার না করেই দোকানদাররা পণ্য বিক্রি করছেন, সেইসাথে ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। অনেকেই করোনাকে নিয়ে উপহাস করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন করোনা নেই, কোন সমস্যা নেই মাস্ক না পড়লে কিছুই হবে না।

এদিকে কয়েকটি ব্যাংকে দেখা যায়, ব্যাংকের প্রবেশ পথে প্রহরী থার্মালমিটার নিয়ে গ্রাহকদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে গেলে গ্রাহকরা বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং মাস্কবিহীন অবস্থায় প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাধা প্রদান করা হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তারা নালিশ জানায়।

এরকম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, গ্রাহকদের মাস্ক পড়ে আসার জন্য বলা হলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনা। এতে করে আমাদের ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়।

শহরের আশপাশের এলাকার কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা যায়, চায়ের দোকানও খাবারের হোটেলগুলোতে কোন ধরণের মাস্ক ব্যবহার করছেন না দোকানে বসা লোকজন। অধিকাংশ রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজি, মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীদের মুখে মাস্ক নেই। অনেক পথচারী মাস্ক ছাড়াই হাটছেন। তাদের অভিমত, করোনা চলে গেছে। আর করোনা কিছু করতে পারবে না। মাস্ক না পড়লেও আমরা সচেতন এমন দাবী তাদের। করোনা এখনো সুপ্ত অবস্থায় রয়ে গেছে যেহেতু করোনাকাল সেহেতু, সবাইকে ভাবতে হবে। নইলে করোনা থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় নেই।

জেলা শহরের কয়েকটি ক্লিনিকগুলো ঘুরে দেখা যায়, অনেকের মুখে মাস্ক নেই, তারা অনায়াসে ক্লিনিকে প্রবেশ করছেন। মাস্ক যেন তাদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। এদিকে, মাস্ক পড়ার মানুষের সংখ্যা মাত্র ৫ ভাগ, না পড়ার সংখ্যা ৯৫ ভাগ। মুখে মাস্ক না দিয়েই তারা দেদারসে চলাফেরা, চায়ের দোকান এবং বিভিন্ন হোটেলে বসে খাবার খাচ্ছেন। এমনকি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের মুখে মাস্ক ব্যবহার না করেই দিব্যি অফিস করছেন। এছাড়া কর্মচারীরাও মাস্ক ব্যবহার না করেই তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

সুধিজনরা বলছেন, স্থানীয় প্রশাসনের শিথিলতার সুযোগে মানুষ মাস্ক না পড়ে বেরিয়ে পড়ছেন। এ মুহুর্তে ব্যাপকহারে প্রচারণা না চালালে করোনার থাবা থেকে রেহাই পাবে না। দিনে দিনে যেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার কথা সেখানে কমে যাওয়ায় বিশিষ্টজনেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, মাত্র ৫ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। মানুষের ধারণা করোনা আর নেই। নভেম্বর মাসে করোনা বিস্তার আবারো বাড়তে পারে, আমাদের আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নতুন করে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল- রাব্বি জানান, সব জায়গায় অবহিত করা হয়েছে নো মাস্ক, নো সার্ভিস। মাস্ক পড়া নিশ্চিতে চলতি সপ্তাহে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে কাজ শুরু করবে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর