রবিবার , ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নিষ্ক্রিয় সার্ককে গতিশীল করার এখনই সময়

Paris
অক্টোবর ১৩, ২০২৪ ৮:২৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন (সার্ক) হলো দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার আঞ্চলিক জোট।

আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক পুনর্গঠন বা গতিশীল করা এই মুহূর্তে খুবই জরুরী

৭০ দশকের শেষের দিকে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার মধ্যে একটি বাণিজ্য ব্লক তৈরি করতে এবং এ অঞ্চলের জনগণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানে সম্মত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন সার্ক প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেন। ১৯৮০ সালের মে মাসে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে এ মর্মে বাংলাদেশের একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করেন।

দক্ষিণ এশীয় সাতটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা এ প্রস্তাবে প্রাথমিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সাড়া দেন। ১৯৮১ সালের ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল কলম্বোতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলোর প্রথম পররাষ্ট্র সচিব সম্মেলনে কাঙ্ক্ষিত সংগঠন গঠনের ব্যাপারে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরপরই ১৯৮৩ সালের আগস্ট মাসে এ অঞ্চলের সাতটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা দিল্লিতে তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন।

এ বৈঠকে মন্ত্রীবর্গ একীভূত বা যৌথ কর্মসূচি বা Integrated Programme of Action (IPA) নামে একটি প্রোগ্রাম গ্রহণ করেন। এ কর্মসূচির আওতায় সার্কভুক্ত রাষ্টগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য নয়টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়। অতঃপর ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকা সম্মেলনের মাধ্যমে সার্কের (SAARC- South Asian Association for Regional Co-operation) বা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার আনুষ্ঠানিক সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদিত হয় এবং তার যাত্রা শুরু হয়।

স্থবির সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন) আঞ্চলিক জোটকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন এবং গতিশীলতার জন্য পুনর্জাগরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এবং অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও, সার্কের অকার্যকরতা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এই অঞ্চলের সম্ভাবনাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করছে।

এখনই সময় এই জোটকে নতুনভাবে সক্রিয় করার, যাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো পারস্পরিক বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করতে পারে। এর মাধ্যমে শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস সার্কের পুনর্গঠন বা গতিশীল করার আহ্বান জানিয়েছেন ।

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) চেতনার পুনরুজ্জীবন হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এক সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, আট জাতির এ জোট আঞ্চলিক অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। একটি মহৎ উদ্দেশ্যে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি এখন শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ এবং এটি এখন কাজ করছে না।

দক্ষিণ এশিয়া বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, বিপুল জনগোষ্ঠী এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থাকার পরেও সার্ক কার্যকরভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

সার্কের স্থবিরতার কারণ

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব: বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্ব সার্কের কার্যক্রমকে সবচেয়ে বেশি ব্যাহত করেছে। এই দুই দেশের মধ্যে সমস্যা সমাধান ছাড়া সার্কের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।

অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ: দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশকেই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। এ কারণে সার্কের কর্মকাণ্ডে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বাধা: সার্কের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি অন্যতম, তবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য ও যোগাযোগে অনেক বাধা আছে। অবাধ বাণিজ্য চুক্তি বা “SAFTA” (South Asian Free Trade Area) পূর্ণরূপে কার্যকর না হওয়ার কারণে বাণিজ্য বাধাগুলো রয়ে গেছে।

সার্ক পুনর্জাগরণের প্রয়োজনীয়তা

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করলে আঞ্চলিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। সামরিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দূর করার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তি এবং অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে।

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি: যদি সার্কের মধ্যে বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করা যায় এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অবাধ বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করা হয়, তবে আঞ্চলিক অর্থনীতি ব্যাপকভাবে উন্নত হবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করে দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব।

সামাজিক উন্নয়ন: সার্কের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন সামাজিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ এখনো দরিদ্র এবং এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে একসঙ্গে কাজ করা আবশ্যক।

বৈশ্বিক ভূমিকা: সার্ক শক্তিশালী হলে এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব আরও কার্যকরভাবে করতে পারবে। এটি সদস্য দেশগুলোর বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে সাহায্য করবে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সংলাপ: সার্ককে গতিশীল করতে হলে প্রথমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান প্রয়োজন। এই দুই দেশের সহযোগিতা সার্কের অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।

বাণিজ্য বাধা কমানো: সদস্য দেশগুলোকে একত্রে কাজ করে সীমান্ত বাণিজ্য সহজ করা এবং অবাধ বাণিজ্য চুক্তিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমন্বয় বাড়ানো সম্ভব হবে।

অভ্যন্তরীণ শক্তিশালীকরণ: সদস্য দেশগুলোকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে, যাতে তারা আঞ্চলিক সহযোগিতায় সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ করতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করতে হলে সার্ককে আবার সক্রিয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়া আরও গতিশীল হতে পারে, যা সার্কের মূল লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।

সার্কের মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জীবনমান উন্নত করা; কিন্তু প্রায় চার দশক পরও সার্ক তার লক্ষ্য অর্জনে খুব একটা সফল হতে পারেনি। এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে সামনে আসে।

১. ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব: সার্কের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা। এই দুই দেশের দ্বন্দ্ব প্রায়ই সার্কের আলোচনা এবং পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলেছে, যা সংস্থাটিকে অচলাবস্থায় ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে উরি হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের অবনতির কারণে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত করে, যা সার্কের কার্যক্রমে বড় ধাক্কা দেয়।

২. আঞ্চলিক বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা: সার্কের আরেকটি সমস্যা হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুবই সীমিত। সার্কের মধ্যে স্বাক্ষরিত সার্ক ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (SAFTA) থাকলেও এর কার্যকারিতা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, শুল্ক বাধা এবং পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় না। এ কারণে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ইন্টিগ্রেশন ব্যাহত হচ্ছে।

৩. আন্তঃসংযোগের অভাব: সার্কের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। রেল, সড়ক, বিমান এবং সমুদ্রপথে পর্যাপ্ত যোগাযোগের অভাবে দেশগুলো পরস্পরের সাথে উন্নত বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারছে না। একইভাবে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে আন্তঃসংযোগের ঘাটতির কারণে আঞ্চলিক সহযোগিতা পূর্ণতা পাচ্ছে না।

৪. নেতৃত্বের সংকট: সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নেতার ভূমিকা পালনে সমস্যাও একটি বড় কারণ। ভারত, যা আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত, সার্কে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা রাখেনি। পাকিস্তানও তার নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যায় জড়িত থেকে সার্ককে অগ্রাধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক সংহতি গঠনে অনীহা প্রকাশ করেছে।

৫. অন্য আঞ্চলিক জোটের প্রভাব: সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য অন্য জোটগুলোতেও সক্রিয় রয়েছে। যেমন ভারত BIMSTEC-এ বেশি মনোযোগ দিয়েছে।  এ ধরনের বিকল্প জোটগুলোর সক্রিয়তা সার্ককে আরও দুর্বল করেছে।

সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা

সার্ককে পুনরায় কার্যকর এবং গতিশীল করতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে-

রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসন: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। এই দ্বন্দ্ব নিরসন ছাড়া সার্ককে কার্যকর করা কঠিন হবে।

বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগ: সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত বাধা অপসারণ করে সার্ককে একটি কার্যকর বাণিজ্যিক জোট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য অবকাঠামো, লজিস্টিক্স এবং শুল্ক সহজ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি:  সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রেল, সড়ক এবং নৌপথে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এর সাথে সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতাও বাড়াতে হবে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: দক্ষিণ এশিয়ার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উদ্ভাবনী প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে, যা অঞ্চলের অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

অন্য আঞ্চলিক জোটগুলোর সাথে সহযোগিতা: সার্ককে BIMSTEC এবং ASEAN-এর মতো অন্যান্য আঞ্চলিক জোটগুলোর সাথে সহযোগিতা বাড়াতে হবে, যাতে সমন্বিতভাবে উন্নয়নের কাজ করা যায়।

সার্কের পুনর্জাগরণ এবং সক্রিয়তা শুধু আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয়, বরং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

সার্কের পুনরুজ্জীবন শুধুমাত্র আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্মিলিত অগ্রগতি এ অঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে। এখনই সময় সার্ককে নতুন উদ্যমে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি ঐক্যবদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ অঞ্চলে রূপান্তর করার।

লেখক: মো. আবদুর রহমান

সেক্রেটারি জেনারেল

সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (সেন্ট্রাল কমিটি)

কাটমুন্ডু, নেপাল

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - মতামত