সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই প্রশাসন ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন তিনি।
কারা আসছেন নতুন মেয়াদে ট্রাম্পের প্রশাসনে। তা নিয়ে এখন চলছে জোর গুঞ্জন। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ তালিকায় যুক্ত করেছেন বেশ কিছু নাম। যাদের দেখা যেতে পারে ট্রাম্পের প্রশাসনে।
বৃহস্পতিবার সহ-ব্যবস্থাপক সুসান সামারাল ওয়াইলসকে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ হিসাবে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। এর পর থেকেই জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পের পূর্বের মেয়াদে প্রশাসনে থাকাদের সিংহভাগই বাদ পড়তে পারে নতুন মেয়াদে। মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে এক ঝাঁক নতুন মুখ।
ট্রাম্প প্রশাসনে আসতে পারেন যারা—
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাগ্নে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে দেখা যেতে পারে ট্রাম্পের প্রশাসনে। আগে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দৌড়ঝাপ করলেও শেষ পর্যন্ত সেই রেস থেকে ছিটকে ট্রাম্পের সঙ্গে জোট বাধেন তিনি। নির্বাচনের আগে ‘মেক আমেরিকা হেলদি এগেইন’ নামে একটি প্রচারাভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেনেডি জুনিয়র।
ধারণা করা হচ্ছে, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর মতো জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রধান ভূমিকা পালন করবেন কেনেডি জুনিয়র।
সুসি ওয়াইলস
কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ভূমিধস বিজয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রচারণার সহ-সভাপতি ক্রিস লাসিভিটা এবং সুসি ওয়াইলস। বুধবার বিজয়ের পর ভাষণে ‘আইস বেবি’ হিসাবে সুসি ওয়াইলসে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
সুসিকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি পটভূমিতে থাকতে পছন্দ করেন।’ ট্রাম্পের এমন কথার পর সুসিকে দেশের সবচেয়ে আগ্রাসী এবং সম্মানিত রাজনৈতিক অপারেটিভদের একজন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইলন মাস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এই বছরের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্পকে জেতাতে ১১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঢেলেছেন। এছাড়া মাস্ক অবৈধ অভিবাসন এবং ট্রান্সজেন্ডার অধিকারসহ বেশ কিছু ইস্যুতে ক্রমবর্ধমানভাবে সোচ্চার হয়েছেন।
যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের’ নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে মাস্ককে। যার ফলে খরচ কমিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন মাস্ক। যে কারণেই ধারণা করা হচ্ছে মাস্ককে দেখা যাবে ট্রাম্পের প্রশাসনে।
মাইক পম্পেও
কানসাসের প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান মাইক পম্পেও ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এর পরিচালক এবং তৎকালীন সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে বেশ ধারণা আছে তার। তিনি ইসরাইলের একজন উগ্র সমর্থক। ইসরাইলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল তার। তাই ধারণা করা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন তিনি।
ক্যারোলিন লেভিট
ক্যারোলিন লেভিট ছিলেন ট্রাম্পের প্রচারণার মুখপাত্র। এর আগে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসে সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হতে পারেন তিনি। যাকে মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বেশি জনসাধারণের মুখোমুখি হতে হয়।
টম হোমন
টম হোম্যান প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ইউএস ইমিগ্রেশনস অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। সে সময় তিনি অবৈধ ক্রসিং রোধ করার উপায় হিসাবে অভিবাসী শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদা করার প্রবক্তা ছিলেন।
তিনি ট্রাম্পের গণ-অভিবাসী নির্বাসন পরিকল্পনার বিকাশে একটি মূল ব্যক্তিত্ব হিসাবে কাজ করেছেন। তাকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রধানের জন্য সম্ভাব্য বাছাই করা হতে পারে।