নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্বৃত্তরা দেওয়া বিষেই মাদ্রাসার ১০ ছাত্র অসুস্থ হয়। তাদের অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গোদাগাড়ীর তালাই কুন্দলিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় হাফেজ আলী আকবর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডাক্তারা বলে,ছে তারা সবাই ভাল আছে। তাদের ট্যাঙ্কির পানিতে বিষ ছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তালাই কুন্দলিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ্য হয়ে পড়া মাদ্রাসা ছাত্রদের রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হাসপাতালের ১৩ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসুস্থ ছাত্ররা এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে।
অসুস্থ ছাত্ররা হলো, গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট এলাকার হাফেজ আলী আকবরের ছেলে মিততাহুল জান্নাতি (৭) ও সাজ্জাদ আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (১১), রাহী পানিহার গ্রামের সানাউল্লাহর ছেলে আকতার রহমান (৯) ও রিয়াজ আলীর ছেলে সিফাত আলী (১২), শিমলা এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন (১২) ও মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিন (১৩) এবং তালাই কুন্দলিয়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে নাইম হোসেন (১৪)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসব ছাত্ররা জানান, সোমবার আসরের নামাজের পর থেকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। এরপরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষক ও অসুস্থ ছাত্র মিততাহুল জান্নাতির পিতা হাফেজ আলী আকবর জানান, মাদ্রাসার ছাদে পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাঙ্কি রয়েছে। ওই ট্যাঙ্কির পানি পান করে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক অধ্যাপক খলিললুর রহমান জানান, ট্যাঙ্কির পানির সঙ্গে বিষক্রিয়ার কারণে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রত্যেকের পৃথকভাবে টেস্ট করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে বর্তমানে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
স/আ