মঙ্গলবার , ২ আগস্ট ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ত্রাণের অপেক্ষায় বন্যার্তরা

Paris
আগস্ট ২, ২০১৬ ১:০৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

‘কতজন দেখার জন্য আসল। শুধু দেখেই চলে যায়, কেউ আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। ফেরি ঘুরার সময় পানির ঢেউ আইসা নদীর কূল ভেঙে আমার বসতবাড়ি সব নিয়ে গেছে। কি খামু, কি করমু, কোথায় থাকমু- কিছুই ভাবতে পারছি না। পোলাপান নিয়া এখন না খেয়ে আছি। দুচোখ মেলে অপেক্ষায় থাকি কখন একটু ত্রাণ পাব।’ এমন কথা বলছিলেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের বাহিরচর দৌলতদিয়ার মমতাজ বেগম।

নদী ভাঙনে ও বন্যায় সহায় সম্বল হারিয়ে এখন তার পরিবার অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, বাপের কালে যে সম্পত্তি ছিল সব নদীতে গেছে। এখন মাথা গোজার ঠাঁইও নাই। খাবারও নাই।

শুধু মমতাজই নয় এরকম ১৫ শত পরিবারের প্রায় সাত হাজার মানুষ এখন অপেক্ষায় রয়েছে কখন আসবে একটু ত্রাণ। পদ্মার পানি অব্যাহত বৃদ্ধি ও বিপৎসীমার ওপরে উঠায় গোয়ালন্দের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্য দরকার।

জেলা প্রশাসন ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত বলে মনে করছেন বানভাসি মানুষরা। গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার  ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে এই অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ভাঙনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পদ্মা পাড়ের মানুষরা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয়ের ছেষ্টা করছেন।

তবে বন্যা ও নদী ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় ট্রলারে করে পরিদর্শন করছেন।

তা ছাড়া রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানকে অনুরোধ করেছেন। সংসদ সদস্যের অনুরোধে আগামী ৪ আগস্ট নৌ পরিবহন মন্ত্রী গোয়ালন্দের বিভিন্ন নদী ভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে তিনি জানান।

দেব গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজাদ সরদার ও হাশেম ফকির জানান, তাদের ইউনিয়নের সব গ্রামই বন্যায় তলিয়ে গেছে। তাদের গ্রামগুলো এখন পানির নিচে।

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনের শিকার ও বন্যাকবলিত প্রায় সাত হাজার মানুষের অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ জানান, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তত সাড়ে সাত হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। দুর্গতদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণের জন্য ৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৪ মেট্রিক টন চাল দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

সূত্র: রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - জাতীয়