নিজস্ব প্রতিবেদক:
- গত কয়েকদিন ধরেই পানি কমছে পদ্মায়। বৃহস্পতিবার পদ্মায় পানিপ্রবাহ রয়েছে ১৮ দশমিক ২৭ মিটার। প্রতিদিনই ধীরে ধীরে কমছে পানি। এ কারণে স্রোতও প্রবল হচ্ছে। আর তীব্র স্রোতের কারণে টি বাঁধের কাছে নৌকা ভেড়ানো যাচ্ছে না। ফলে মেরামত কাজ দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজশাহী ‘টি’ বাঁধ ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
- তিনি আরও বলেন, তবে আশা করা যাচ্ছে, টি-বাঁধে আর নতুন করে ভাঙন দেখা দেবে না। পুরো পদ্মার গতি ও প্রকৃতি গভীরভাবে পর্যক্ষেণ করেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নান বলেন, এই বাঁধ নিয়ে আমরা চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। হঠাৎ করে ভারত ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফারাক্কার অভিশাপ এখন শুধু আমরা না ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গও বুঝতে পেরেছে।
- তিনি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ফারাক্কা বাঁধ সরিয়ে না ফেলার কোনো বিকল্প আমাদের সামনে নেই। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে টি-বাঁধ নিয়ে আপাতত শঙ্কা নেই বলেও মনে করছি।
এদিকে স্রোতের তীব্রতা এখনও কমেনি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে স্রোতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ফলে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজশাহী ‘টি’ বাঁধ রক্ষা নিয়ে। এদিন সকাল থেকে সারাদিনই ফেলা হয়েছে ব্লক। এর আগে, জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা), তারও আগে পাথর ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এগুলোতে ভাঙন খানিকটা ঠেকানো গেলেও প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন থামানো যায়নি। ফলে খুব একটা লাভ হয়নি। এ কারণে নতুন করে বড় বড় ব্লক ফেলা হচ্ছে। এর একেকটির ওজন ছয় মণেরও বেশি। তবে ব্লক দিয়ে শেষরক্ষা হবে কি না তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না।
- রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার শহিদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার পানির প্রবাহ ছিলো ১৮ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত পানি কমেছে আট সেন্টিমিটার।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট থেকে রাজশাহী ‘টি’ বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। এরপর থেকে টানা প্রতিরক্ষার কাজ চলছে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের।
স/অ