তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ থেকে ১৬টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৪জনকে ২দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য উৎঘাটন করতে পারেনী পুলিশ। তবে, স্কুলের চাবি ও ছুটি দেয়া নিয়ে রহস্যের জট খুলছেনা। ফলে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
চলতি মাসের ৩০ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও আজ পর্যন্ত চুরিকৃত ১৬টি ল্যাপটপ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি আটককৃতদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে প্রকৃত অপরাধিরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইয়ে রয়েছে। উৎঘাটন হচ্ছেনা মূল ঘটনা।
মঙ্গলবার নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে ডিজিটাল ল্যাবের ঘরের চাবি কম্পিউটার শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া হাতে প্রধান শিক্ষক আনুষ্ঠানিক ভাবে তোলে দেয়। আর ল্যাব ও কেসিগ্রেটের চাবিদুটি স্কুলের পিওন রফিকুল ইসলামের কাছে রাখা হয়। তবে তালা লাগানো অবস্থায় ১৬টি ল্যাবটপ চুরি বিষয়টি অতিরহস্যকর ঘটনা।
তাদের দাবি যারাই এর সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । আর যারা নিরঅপরাধ তারা যেন হয়রানির সিকার না হয়। সে বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই রুবেল হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, গত সোমববার আটককৃতদের বিজ্ঞ আদাতের মাধ্যমে ২ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত সার্থে এখন কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান, ঘটনার দিন রাতে স্কুলের বাউন্ডারী ঘেসা সিদ্দিকের দোকানে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত এলাকার বখাটে ছেলেরা পিকনিক খাচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে থানাও অবহিত রয়েছে। ঘটনার দিন থেকে তাদেরকে এলাকায় আর দেখা যাচ্ছেনা বলে তিনি জানান।
উল্ল্যেখ্য, গত ২৬ জুলাই তানোর উপজেলার নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক পরীক্ষা শেষে ২৭ ও ২৮জুলাই স্কুল ছুটি ঘোষনা দিয়ে স্কুল বন্ধ করে চলে যান। ছুটি শেষে ৩০ শে জুলাই সকালে স্কুল খোলার পর কম্পিউটার শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া কম্পিউটার ল্যাব ঘরের তালা খুলে দেখেন ঘরে কোন ল্যাপটপ নাই।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা আব্দুস সালাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, আটককৃত দের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। চোরাই মালামাল উদ্ধার ও প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জোরালো চেষ্টা চলছে।
স/শ