নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানের জনকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনা নিয়ে নোনা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম মাহফুজুর রহমান পাভেল (৪২)। তার স্ত্রীসহ দুইটি মেয়ে রয়েছে, বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ও ছোট মেয়ে বাড়িতে রয়েছে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও রহস্যের গুঞ্জন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (৮মে) সকালে তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ রায়তান বর্ষ গ্রামে।
জানা গেছে, মাহফুজুর রহমান পাভেল নিজ ঘরের সয়ন কক্ষে তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে ঝুলে ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। অন্যদিকে নিহতের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার ঘটনায় কেউ বলছে এটা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আবার কেউ বলছে পারিবারিক কলহের জেরে নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। তবে থানা পুলিশ বলছে,এটা হত্যা নয় আত্মহত্যা।
এদিকে মৃতের বড় ভাই রয়েল অভিযোগ করে বলেন, এটা পাভেলের স্ত্রীর সহযোগিতায় ছোট ভাই হাট ইজারাদার রনি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের বড় ভাই রয়েলের কথায় কোন কর্ণপাত করেননি থানা পুলিশ। বরং নিহতের ছোট ভাই রনি ও রনির হাট পার্টনার সাবেক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা রয়েলকে পাগল বলে আক্খায়িত করে থানায় অভিযোগ দিতে দেননি। ফলে নিহতের লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই দাফন করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন থানা পুলিশ।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। নিহতের লাশ ঘরের ভিতর থেকে নিচে নামানো হয়। কিন্তু কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।