বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জোর করে চুমু দিতে গিয়ে জুটল চড়, ক্ষিপ্ত সহকর্মী হত্যা করলেন নববধূকে

Paris
নভেম্বর ১৩, ২০২৪ ৮:২৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলে সহকর্মীর হাতে এক নববধূ খুন হওয়ার ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত সিনথিয়া রিবেরিও বার্বোসা (৩৮) ও অভিযুক্ত মার্সেলো জুনিয়র বাস্তোস সান্তোস একটি কেয়ার-গিভার সেন্টারে কাজ করতেন। জোর করে চুমু দিতে গেলে মার্সেলো তাকে চড় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সান্তোস তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম দ্য পিপলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, মাত্র ৮ দিন আগে বিবাহিত এই নারীকে প্রতিদিন কর্মস্থলে রেখে আসতেন তাঁর স্বামী। ঘটনার দিন কাজ শেষে হলেও সিনথিয়া বাড়িতে ফিরেননি। তার ফোনে কল করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কার্লোস আলফামা বলেন, ‘আমরা যখন তদন্তে যাই, পাশের একটি বিল্ডিংয়ের উঠানে মাটি খোঁড়া ছিল। একটি বৈদ্যুতিক বেড়া ভাঙা ছিল। এ দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা ধারণা করেছিলাম, সে (মার্সেলো) কারও সাহায্য নিয়ে লাশ পাশের বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মার্সেলো একাই এ কাজ করেছে।’

তদন্তের পর পুলিশ সান্তোসকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সিনথিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। মার্সেলো জানান, সিনথিয়াকে চুমু খেতে চাইলে সে অস্বীকৃতি জানায় এবং তাকে চড় মারেন। এরপর তিনি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম জি-১ জানায়, কেয়ার-গিভার সেন্টারে ব্যবহৃত ডায়াপার টেপ দিয়ে সিনথিয়ার হাত বাঁধেন মার্সেলো। হত্যার পর লাশ পাশের একটি ভবনে লুকিয়ে রাখেন। পরে পুলিশ তা খুঁজে বের করে।

কর্মকর্তা কার্লোস আলফামা বলেন, ‘অজ্ঞান হয়ে গেলে মার্সেলো ভেবেছিল সিনথিয়া মারা গেছে। তখন সে অন্য রুমে চলে যায়। কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে হয়, সিনথিয়া এখনো বেঁচে আছে এবং পালানোর চেষ্টা করছে। তখন সে আবারও সিনথিয়াকে ধরে ফেলে। মাস্কিং টেপ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে। শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সে এভাবেই চেপে ধরে থাকে।’

সিনথিয়ার স্বামী জানান, ৮ দিন আগে তাদের বিয়ে হয়। প্রতিদিন তিনি সিনথিয়াকে কর্মস্থলে রেখে আসতেন। সেদিন কাজ শেষে হলেও সিনথিয়া বাড়িতে ফিরেননি। তার ফোনে কল করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক