মঙ্গলবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জেএমবি নেতা সাইদুরসহ ৩ জনের বিচার শুরু

Paris
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭ ২:১২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) তৎকালীন প্রধান সাইদুর রহমান ওরফে জাফর ওরফে আইয়ুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

মঙ্গলবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আগামী ১৪ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।

তিনি জানান, চার্জ গঠনকালে সাইদুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন-সাইদুর রহমানের দেহরক্ষী আব্দুল্লাহেল কাফি ও কাফির স্ত্রী আয়শা আক্তার। তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

তাপস কুমার পাল জানান, সাইদুর রহমানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং এই ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে আদালতকে জানিয়েছেন।

মামলাটিতে ২০১০ সালের ৭ আগস্ট ডিবির ইন্সপেক্টর সোহরাব হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর মামলাটির বিচার শুরুর জন্য ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে ২০১১ সালের ২ জানুয়ানি পাঠানো হয়। ওই আদালত মামলাটিতে ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যও গ্রহণ করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী মামলাটিতে সরকারের অনুমোদন না থাকায় পরে ওই আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠান। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সরকারের অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠান।

২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট মামলাটিতে সরকার অনুমোদন দেয়। গত ৪ জানুয়ারি আদালত নতুন করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলাটিতে মোট ২১ জন সাক্ষী রয়েছেন।

২০১০ সালের ২৫ মে রাজধানীর দনিয়ার একটি বাড়ি থেকে আসামিদের ২৪ ধরনের জিহাহি বইসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর ২০০৬ সালের শেষের দিকে সাইদুর রহমান দলটির প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুনর্গঠিত করেন। তিনি দেশের অভ্যন্তরে সস্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠিত করার জন্য সুরা সদস্য নিয়োগ করে তাদের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব দিতেন। তিনি নিজে বিভিন্ন জেলায় সফর করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

সূত্র:রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি