ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নারী সদস্যকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মহিউল আহমেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রংপুরের কোতোয়ালি থানায় ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ওই নারী তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কের ধারে আমের বাজারে আম কিনতে যান। ওই নারীর ভাইও তারাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা। আমের বাজারটা অনেকটা সড়কের ওপরেই। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন মহিউল আহমেদ। তিনি ওই ভাই-বোনের পেছনে এসে হর্ন বাজাতে থাকেন। এক পর্যায়ে মহিউল গাড়ি থেকে নেমে ভাই–বোনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয় এবং মহিউল যুবলীগের ওই নেতাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। ভাইকে বাঁচাতে বোন এগিয়ে এলে মহিউল তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁর চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু এর আগেই সটকে পড়েন মহিউল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাঞ্ছনার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান জানান, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটি শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমরা পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছি, অবিলম্বে মহিউলকে গ্রেপ্তার করা হোক। আর তা না হলে আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’
তবে অভিযুক্ত মহিউল আহমেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ