সোমবার , ১৯ আগস্ট ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চাকরি করেন পুঠিয়ায়, থাকেন ইংল্যান্ডে, তবও নিয়োমিত বেতন !

Paris
আগস্ট ১৯, ২০২৪ ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি :
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার শিক্ষক সেলিম হোসেন দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকেও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সেলিম হোসেন গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ তারিখ ইংল্যান্ডে গেছেন।
একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের যোগ সাজোসে তার বেতন ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রসার প্রভাষক (জীববিজ্ঞান) সেলিম হোসেন গত বছর ছুটির জন্য আবেদন করলে ছুটি না মঞ্জুর করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারপরেও তিনি ছুটি না নিয়ে চলে যায় দেশের বাইরে।

অধ্যক্ষ উক্ত শিক্ষকের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তার বেতন বিল ব্যাংক একাউন্টে পাঠাচ্ছেন এবং যথারীতি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। বর্তমানে প্রভাষক সেলিম হোসেনর অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসেন না। আসলেও একদিন আগের স্বাক্ষর করে চলে যান।

বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ২০১১ সাল থেকেএই পর্যন্ত তিনি তিনবার সাসপেন্ড হয়েছেন। আরবি বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি।

যোগদানের পর থেকেই দেখছি আমাদের সহকর্মী সেলিম স্যার ও অধ্যক্ষের দুর্নীতির অনেক অভিযোগ করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে অসৎ আচরণ বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসা। স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে আমরা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি (ভার প্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন সজল বলেন, আসলে এগুলা বিষয় ঘটেছে সাবেক সভাপতি সময়।

আমার তেমন কোন কিছু জানা নেই। আর্থিক বিষয়গুলো যৌথ একাউন্টের মাধ্যমে অধ্যক্ষ স্যার দেখাশোনা করে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা জাহান বলেন, গতবছর এ বিষয়ে আমি তদন্ত করে রিপোর্ট আমাদের উর্ধতন দপ্তরে পাঠিয়েছি।

মাদ্রাসার গর্ভানিং বডি সর্বময় ক্ষমতার রয়েছে। গর্ভানিং বডির সভাপতি এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর