শনিবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব উদযাপন

Paris
ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭ ৮:১৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পৌষ মাসে পিঠা-পুলির উৎসবের আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপি এ উৎসবের আয়োজন করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর পৌর এলাকার বাবুরঘোন মহল্লায়।

প্রতি বছরের ন্যায় গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীর ছেলে মেয়ের মনে আনন্দ দেয়ার জন্য নবান্ন উৎসবের এই আয়োজন করেন উত্তর রহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মমতাজ বেগম।

এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রিয় শিক্ষিকাকে তিন কেজি করে সংগ্রহ করা মাঠের ধান দিয়ে এ নবান্ন উৎসবে অংশ নেয়। প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী উৎসাহী হয়ে এ পিঠা উৎসবে অংশ নেয়। ফলে মহল্লাটিতে নবান্ন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

লাল-হলুদ শাড়ি, কাঁচা ফুলের মালা পরে ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল বয়সের নারী-পুরুষ সারাদিন পিঠা তৈরি ও নাচে-গানে মেতে উঠে। গ্রাম-বাংলার ঢেঁকি ও যাঁতার শব্দ ওই দিনটিতে শুনতে পাওয়া যায়। ছেলে মেয়েদের সংগ্রহ করা ধান থেকে ঢেঁকি ছাঁটা চাল যাঁতায় তৈরি করা আটা দিয়ে হরেক রকমের পিঠা-পুলি খেতে আসে উৎসুক জনসাধারণ।

আবার প্যাকেট করে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় পিঠা। পিঠা খেতে আসা উৎসুক অতিথিদের গ্রাম-বাংলার সংগীত গেয়ে আনন্দ দেয় ওই ছাত্র-ছাত্রীরা। গ্রামের এ ঐতিহ্যকে উৎসাহ যোগাতে ছুটে আসে রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে শিক্ষিকা মমতাজ বেগম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, তার নানা-নানীরা বহুযুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি বানিয়ে গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীদের দাওয়াত করে খাওয়াতেন। সেই থেকেই এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছর গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে উৎসবটি পালন করে আসছেন। তাকে এ কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ যোগিয়ে আসছে বড়বোন কলেজ শিক্ষিকা শামিমা আখতার ও এলাকার কৃষাণীরা।

বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান,অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম প্রমূখ।

পরে স্থানীয় শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর