রাজধানীর শ্যামপুরে একটি ফিলিং স্টেশনে ঘুমিয়ে থাকা সহকর্মীকে ডেকে তোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াদ হোসেনের (২০) শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে অপর এক সহকর্মীরা।
মঙ্গলবার ভোরে সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রিয়াদকে ৪০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহম্মেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনি (১৮) নামে ফিলিং স্টেশনের তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে।
শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলম জানান, গ্রেফতার ৩ জন ও রিয়াদ রাতে ওই ফিলিং স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন ভোর ৪টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। ইমনকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার জন্য রিয়াদকে পাঠায় রনি ও ফাহাদ। অনেক ডাকাডাকির এক পর্যায়ে ইমন ঘুম থেকে না ওঠায় তার শরীরে পেট্রোল দিতে বলে রনি ও ফরহাদ।
পেট্রোল ঠাণ্ডা জাতীয় হওয়ায় দ্রুত ঘুম ভেঙে যাবে বলে তাদের ধারণা ছিলো। তাই ইমনের শরীরে পেট্রোল ছিটানো হয়। এরপর ইমনের ভুম ভাঙে। ঘুম থেকে ওঠে ইমন তার শরীরে পেট্রোল ছিটানো ব্যক্তির সন্ধান করতে থাকে। রনি ও ফাহাদ এসময় রিয়াদের নাম বলে।
পরে আধা লিটার পেট্রোল নিয়ে ইমন রিয়াদের সন্ধান করতে থাকে। রিয়াদ এসময় স্টাফ রুমে অবস্থান করছিল। সেখানে গিয়ে রিয়াদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ইমন।
দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা তিনজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এরপর তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে।
রিয়াদের বাবা ফরিদ হোসেন বলেন, রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে সে কাজ করতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। সামান্য কারণে ছেলের সহকর্মীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় তিনি হতবাক। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ফরিদ হোসেন।
সূত্রঃ যুগান্তর