নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমের রাজধানী রাজশাহীতে উঠতে শুরু করেছে রসালো লিচু। আম উঠতে এখনো বেশ কিছু সময় বাকি থাকলেও বাজার দখল করতে আগেই রাজশাহী মহানগরসহ আশপাশের উপজেলার হাটবাজারে উঠতে শুরু করেঠে রসালো ফল লিচু।
প্রতিবছরই মৌসুমের অনেক আগেই বাজারে রসালো লিচু পাওয়া যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও শুরুতে এবারো লিচুর দাম আকাশ ছোঁয়া। অভিযোগ রয়েছে কাঁচা লিচু লাভের আশায় রং কেমিক্যাল মিশিয়ে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন। তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি তাদের দেখার বিষয় নয়। এটি দেখবে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।
নগরীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, সময়ের আগেই এবারো রাজশাহী নগরীর ফলের দোকানগুলোতে লিচু দেখা যাচ্ছে। তবে এই মৌসুমী ফল নিয়ে শুরুতেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা কাঁচা লিচু আমদানি করে লাভের আশায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে এসব লিচু বাজারে বিক্রি করছেন। মূলত লিচুতে বেশি ব্যবহার হয় রং। এই রং ব্যবহার করে কাঁচা লিচু হুবহু পাকা বলে বিক্রি করা যায়। যা করছেন রাজশাহী নগরীর লিচু বিক্রেতারা।
নগরীর ব্যস্ততম সাহেব বাজার নয়, নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়েও কিছু ব্যবসায়ীরা এই লিচু বিক্রি করছেন। বিশেষ করে ফলের দোকানগুলোতে এই লিচু চোখে পড়ছে বেশি।
দেখা গেছে, শুরুতে এবারো এই লিচুর দাম একেবারেই চড়া। এবার ১শ’ লিচুর দাম হাকা হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪শ’ টাকা। যা সব শ্রেণির মানুষ চাইলেই এই লিচুর স্বাদ নিতে পারবেন না। মূলত উচ্চ বিত্ত শ্রেণির কিছু মানুষ বছরের প্রথম ফল হিসাবে বেশি দাম হলেও কিনছেন পরিবারের জন্য। কিন্তু ঘুরে ফিরে একই অভিযোগ বাজারে তোলা লিচু অধিকাংশই কাঁচা ও রং মেশানো।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা অপরিপাক্ক লিচু বেশি দাম পাওয়ার আশায় বাগান থেকে ভেঙ্গে বাজারে তুলেছেন। গাছ থেকে এসব লিচু ভাঙ্গার পর ব্যবহার করা হচ্ছে রং। আবার অনেকেই লিচুকে তরতাজা রাখতে ব্যবহার করছেন কেমিক্যাল। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেমিক্যাল মানুষের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর জেনেও ব্যবসায়ীরা তা ব্যবহার করছেন। আজ রোববার রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় দেখা গেছে, অনেক লিচু ব্যবসায়ীই রং ব্যবহার করে তা বাজারজাত করছেন। আর লোকজন চোখ ধাঁধানো রং দেখে এই লিচু কিনছেন পরিবারের জন্য।
এব্যাপারে সাহেব বাজারের লিচু ব্যবসায়ী হেলাল বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন লিচু কিনি তখন এমনটাই পাই। কেমিক্যাল মেশানো আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হয় ব্যবসায়ীরা লিচু গাছ থেকে নামানোর পর করে। আমরা কিছু করি না।
এব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এ বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের। তাদের কাছে সব ধরনের মেশিনপত্র রয়েছে। তিনি বলেন তারা যদিও আমাদের জানায় তাহলে আমরা অভিযান চালাবো।