সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর বলেছেন, ‘ক্ষমতা স্থায়ী করতে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করেছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। ভারতের সঙ্গে অনেক অপ্রকাশিত চুক্তি ছিল তার। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। পালিয়ে যেতে হয়েছে সেই ভারতেই।
ভারতে অবস্থান করে এখন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। খুনি হাসিনা বলেছিলেন, তিনি পালান না, তবে এখন কে পালালেন? বড় নেতারাও পালিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে যাননি, দেশেই জেল খেটেছেন। আর নেতাকর্মীরাও বিগত ১৫ বছর জেল-জুলুম সহ্য করে দেশে ছিলেন।
খুন-গুমের নায়ক ও গণহত্যাকারী হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে।’
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরে উপজেলা-পৌর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহসিনা রুশদীর আরো বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ পেয়েছি। এই ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল ১৫ বছর আগে।
ছাত্রদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল বিএনপি। আর বিএনপির দীর্ঘদিনের ত্যাগ স্বীকার ও ছাত্রদের সাহসী ভূমিকাসহ সব শক্তি একত্র হওয়ায় ফসল হিসেবে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আজ আমরা ১৭ বছর পর বাধাহীন ও চিন্তাহীনভাবে সমাবেশ করতে পারছি। গত ১৭টি বছর ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থেকে মানুষকে গুম, খুন ও মামলা, জুলুম করেছে। নিরীহ মানুষকে গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৭ বছর সপ্তাহের পাঁচ দিন আদালতের দরজায় কাটাতে হয়েছে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শেখ হাসিনার দোসররা বিভিন্ন স্থানে দখলবাজি, চাঁদাবাজি করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিএনপির কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসে তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি জিরো টলারেন্স। এটা তারেক জিয়ার নির্দেশ। আর কোনো নিরীহ মানুষ যাতে মামলা বা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সবাই মিলে একটি সম্প্রতির বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টাকে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক প্রস্তাবে স্বাক্ষর করায় ধন্যবাদ জানিয়ে লুনা বলেন, হাসিনা সরকার যাদের গুম করেছে তদন্ত করে তার স্বামী এম ইলিয়াস আলীসহ সবাইকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আবদুল হাই, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ডা. মাহবুব আলম জহির, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গোলজার খান।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
