সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
খুলনার ১৬ কারাবন্দিকে মুক্তির সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ বছর সাজা ভোগ শেষে এখন মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন এই ১৬ কারাবন্দি।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি এখন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার হয়তো কোন জাতীয় অথবা বিশেষ দিবসে তাদের মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
কারাবিধির ৫৬৯ ধারার ক্ষমতাবলে বিশ বছর সাজা ভোগ শেষে কয়েদিদের মুক্তি দানের বিধান রয়েছে। এমন ১৬ জনকেই মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করে একটি তালিকা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। বিধি অনুযায়ী এই তালিকায় পাঠানো ১৬ জন বিশ বছর সাজা ভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কারাবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, যারা একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং বিশ বছর সাজা ভোগ হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই এ সুযোগের আওতায় আসবেন।
মুক্তির অনুমোদনের জন্য যে ১৬ জনের তালিকা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন তারা হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। এই তালিকাভূক্তরা হচ্ছেন শাহাবুদ্দিন মোজাম, শাওন, রিয়াজ, রাকিব ওরফে নূরুদ্দিন, আলী আকবর, কায়কোবাদ, নারায়ন চন্দ্র, ঠুন্ডা হারুণ, আব্দুল মান্নান, আব্দুল কুদ্দুস, নজরুল ইসলাম, রাফিজুল ইসলাম, মুছা মিয়া, ফজর আলী, মিরা ফকির ও জীবন ব্যাপারী।
খুলনায় কারা সপ্তাহ শুরু : রোববার সকালে খুলনা জেলা কারাগারে দোয়া মাহফিল এবং জাতীয় ও বিভাগীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কারা সপ্তাহ শুরু হয়। এ উপলক্ষে বেলা ১১টায় বন্দিদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কারামেলার উদ্বোধন করা হয়।
এ ছাড়া সোমবার সকাল ১০টায় স্বেচ্ছায় রক্তদান, মঙ্গলবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ১ মার্চ ড্রেসি প্যারেট (বিশেষ), বিশেষ বন্দিদের দরবার, ২ মার্চ কারারক্ষিদের বিশেষ দরবার, বন্দিদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ৩মার্চ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশুদের পুরস্কার বিতরণী, প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ৪ মার্চ বন্দিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রীতিভোজের মধ্যদিয়ে কর্মসুচির সমাপ্তি হবে।
জেলা কারাগারের জেলার মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ জানান, বন্দি ও দর্শনার্থীদের সমস্যা সমাধানে জেলা কারাগারের প্রধান ফটকে সপ্তাহব্যাপী তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। একজন ডেপুটি জেলার বিষয়টি মনিটরিং করছেন। এছাড়া কারাগারের নিজস্ব ওয়েব পেজ এবং বিশেষ বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য খুলনা কারাগারে প্রথম অনলাইন আবেদনপত্রও চালু হচ্ছে। স্বজনদের সঙ্গে বন্দিদের মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন মোট ১২৬৯ জন। এর মধ্যে জেএমবির ৫জন ও ভারতীয় একজন নাগরিক রয়েছে। ফাঁসির আসামি রয়েছে ৮জন।
সূত্র : রাইজিংবিডি