শনিবার , ১৭ আগস্ট ২০২৪ | ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ক্ষতিগ্রস্ত শাহ্ খদুম মেডিকেল কলেজের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির দাবিতে

Paris
আগস্ট ১৭, ২০২৪ ৫:০৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে ক্ষতিগ্রস্ত শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যাবপস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন , দেশী-বিদেশী চিকিৎসক তৈরীর লক্ষ্যে শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ হসপিটাল ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা শুরু করে। ২০১০ সালে এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির আবেদন করলেও স্থানীয় তৎকালীন এমপি ও রাজনৈতিক নেতাদের বাধা বিপত্তির কারেণে কলেজটি তখন অনুমোদন প্রাপ্ত হয়নি। নানামূখী বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ২০১৩ সালে ৫০ আসন বিশিষ্ট্য মেডিকেল কলেজ অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। ২০১৪ সালে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মনগড়া অজুহাত দেখিয়ে কলেজটির কার্যক্রম সাময়িক স্থাগিত করে, বহু কাঠ-খড়ি পুড়িয়ে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এটি পূনরায় নিয়মিত কলেজর মর্যাদা পায়।

এরপর রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় সম্পূর্ন বে-আইনিভাবে এই কলেজকে অধিভুক্তির নামে ২৫রাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে। এক পর্যায়ে অধিভুক্তি স্থগিত করে। আবার দেন-দরবারের মধ্যে অধিভুক্ত পূর্নবহাল করলেও রাবি প্রবিধি আইন ২০১৫ লংঘন করে আরেকটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ (বারিন্দ মেডিকেল কলেজ) এ পরপর দুইবার এই কলেজের ছাত্রদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করে। বহুমাত্রিক আবেদন নিবেদন সত্ত্বেও শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ আইনত এর প্রাপ্য পরীক্ষা কেন্দ্র অনুমোদন না দিয়ে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করে।

এইভাবে প্রতিনিয়ত বৈষমের শিকার হয়ে নির্যাতিত কলেজটি ৭ম ব্যাচ পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলামান থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে ২রা নভেম্বর করোনা মহামারির মধ্যে কোন প্রকার শোকজ, আত্মপক্ষ্য সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই এবং আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে তৎকালীন ২৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাশর্^বর্তী বারিন্দ মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন করে এবং ২০২১ সাল থেকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করে।

৯৫১৮/২০২০ রিট মামলার আদেশে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধের আদেশটিকে সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগ রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করলে আমরা ২০২১ ও ২০২২ সালে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করি। কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিষ্ট্রেশন ও পুরাতন কয়েকজন ছাত্রকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দিচ্ছে না। ফলে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রী তথা কলেজ অপূরণীয় ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। এছাড়াও সংক্ষুদ্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের প্ররোচিত করে কলেজ কর্তৃপক্ষের নামে ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার আইন অনুসারে আমাদের সকল শর্ত প্রায় পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী দু:সাশনের সুযোগে দেশের গুরুত্বপূর্ন বিভাগে দায়িত্ব পালনকারী অর্থলোভী, সুবিধালোভী, কুচক্রী কর্মকর্তাদের অনৈতিক আকাংখার কাছে আমরা মাথা নত না করায় আমাদের উপরে এই নির্যাতন অব্যাহত ছিল। এই কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদকে জামাত-বিএনপি পৃষ্টপোষক ট্যাগ দিয়ে সম্ভবনাময় এই প্রতিষ্ঠানকে আনুমানিক ২শ’ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ামাদের চেয়ে অনেক কম উপযোগী মেডিকেল কলেজগুলো বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত হলেও শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজকে কেবলমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে কলেজটিকে সরজমিন পরিদর্শন করার অনুরোধ রাখছি।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর