শুক্রবার , ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘কোনো ব্যাংকে টাকা নেই, কোথাও উপচে পড়ছে ভল্ট’

Paris
আগস্ট ২৩, ২০২৪ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘কোনো ব্যাংকে টাকা নেই, কোথাও উপচে পড়ছে ভল্ট’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমানে দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো এখন আর বিশেষ ধার না পাওয়ায় অনেক আমানতকারীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

অবশ্য দিনে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমার কারণে এসব ব্যাংকের খারাপ অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই।

সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে অনেক শাখা। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত। সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়।

সরকার পতনের পর কয়েকদিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল ব্যাংকগুলো। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্জিত অর্থ নানা উপায়ে অনেকেই ঘরে রেখেছিলেন। নিরাপদ বোধ না করায় বিভিন্ন উপায়ে তারা ভালো ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন।

আবার সরকার পতনের পর থেকে বড় অঙ্কের নগদ টাকা তুলতে পারছে না মানুষ। নগদ উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়ায় অনেকেই বড় অঙ্কের আমানত তুলতে পারছে না।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Flash floods wreak havoc in 12 dists’ অর্থাৎ, ‘আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত ১২ জেলা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা জলরাশির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এবং ১০ জন নিখোঁজ হয়েছে।

রামু, কক্সবাজারে তিনজন এবং ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন করে ডুবে মারা গেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুসারে, বন্যায় ৩৬ লাখে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে রেল যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ ২৬টি ট্রেনের চলাচল বাতিল ঘোষণা করেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মুহুরি ও ফেনী নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে।

ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অন্তত ১২টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বর্ষা এবং উজান থেকে আসা জলরাশির কারণে ঘরছাড়া হয়েছে মানুষ। রাস্তাঘাট ও বসতঘরের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যায় অন্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও কক্সবাজার।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় শুক্রবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এবং শনিবার তা কমতে পারে।

তবে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসবে এবং শনিবার বা রোববার থেকে পানির স্তর নামতে শুরু করবে।

ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ টেলিযোগাযোগের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় কয়েকটি ভি-স্যাট ইউনিট পাঠিয়েছে ।

এরিমধ্যে মাঠে নেমেছে সেনা ও নৌ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কাজ করছে ছাত্র সংগঠন, চিকিত্সক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দল।

পত্রিকা

ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, ‘ত্রিপুরায় বাঁধের পানি ছাড়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়নি: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ওপরে থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে—বাংলাদেশে এমন একটি উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে এটি প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয় বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকা (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এ বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে ঘটেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে ডুম্বুর বাঁধের অবস্থান। এটা কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) একটি বাঁধ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি গ্রিডে যুক্ত হয় এবং ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায়।

প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর অববাহিকায় তিনটি জায়গায় (অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া–২) পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশন রয়েছে।

বুধবার থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পানির চাপে বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছাড়ার ঘটনা দেখা গেছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্যাসংক্রান্ত যেকোনো তাৎক্ষণিক তথ্য বাংলাদেশকে দিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পানিপ্রবাহ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার তথ্য বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়