বৃহস্পতিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কুয়েতে গৃহকর্মী নিয়োগে আবার নিষেধাজ্ঞা

Paris
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬ ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এক মাসের ব্যবধানে কুয়েতে আবার বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কুয়েত টাইমসে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।

 

কুয়েতে মাসখানেক পূর্বেও গৃহকর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে শর্তসাপেক্ষে গৃহকর্মী নেওয়ার পক্রিয়া চালু হয়েছিল। সোমবারে খবরের মাধ্যমে এটি পুণরায় আরোপিত হলো।

 

কুয়েত টাইমস জানায়, দেশটির নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট বিষয়ক সহকারী সচিব শেখ মাজান আল জাররাহ এক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে গত সোমবার বাংলাদেশি গৃহকর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন।

 

উল্লেখ্য পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, কুয়েতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।

 

কুয়েত টাইমস জানায়, ভবিষ্যতে শেখ মাজান বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন কিনা অথবা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হবে কি না-তা স্পষ্ট নয়।

 

এক মাস পূর্বে গৃহকর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও কুয়েতি বাড়ির মালিককে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগ দিতে হতো।

 

এ বিষয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান বলেন, সব কুয়েতি নাগরিকদের জন্য একজন করে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া কিছুদিন ধরে স্বাভাবিক ছিল, যা আর থাকছে না। তবে আগেই মতোই সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে কুয়েতি নাগরিকরা শ্রমিক নিতে পারবে।

 

নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে শ্রম কাউন্সিলর কুয়েতে বাংলাদেশি গৃহকর্মী কোটার পূর্ণতা এবং কিছু ব্যক্তি মালিকের যোগসাজসে গৃহকর্মীর ভিসা নিয়ে বাহিরের কাজ করাকে দায়ী করেন।

 

শ্রম কাউন্সিলর লতিফ খান আরো বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো কোম্পানির শ্রমিক নিয়োগে বাধা নেই। কুয়েতে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের ভিসায় কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়িত আছে কিনা দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন শ্রম কাউন্সিলর। এতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কারণে সঠিক সময়ে শ্রমিকটির আকামা (রেসিডেন্ট) না লাগানো, বেতন পরিশোধ না হওয়াসহ যে কোনো সমস্যায়, দূতাবাসের যথাযোগ্য পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় আইনে কোনো বাধা থাকবে না।

সূত্র: এনটিভি

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক