সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টাল চুক্তির বিষয়ে আদালতের রায় এলেও সহজে চুক্তি থেকে বের হওয়া যাবে না। কমিটির মাধ্যমে অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ১১টায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড পরিদর্শন শেষে দুপুরে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড ও কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
মতবিনিময়সভায় উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দেশে বর্তমানে বছরে পরিশোধিত-অপরিশোধিত মিলিয়ে প্রায় ৭৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। যার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানির কারণে বছরে লাখ লাখ ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) বর্তমানে ভেঙে পড়ার অবস্থায় রয়েছে। সে কারণে দ্বিতীয় তেল শোধনাগার ইউনিট বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তায়নের কারণে নতুন রিফাইনারি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। ইস্টার্ন রিফাইনারির কাজটা আমরা সহসা হাতে নেব।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘গ্যাসের সংকটের কারণে প্রতিবছর ৬ হাজার কোটি টাকার গ্যাস আমদানি হয়। এবছর নতুন করে ৫০টি নতুন গ্যাস কূপ খনন করা হবে। আগামী দুই বছরে আরো একশটি কূপ খনন করব।’
ফাওজুল করীম বলেন, ‘আমি টানেল পরিদর্শন করেছি। সেখানে আগে পরে কোনো গাড়ি দেখিনি।
বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি, এখানে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। এই টানেল ঘিরে যেসব সুফল ভোগ করার কথা তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) বলেছিল তার কিছুই হয়নি। বরং আমরা আরো পিছিয়ে পড়েছি। এটি একটি অপরিকল্পিত পরিকল্পনা।’
তিনি বলেন, ‘আসলে পরিকল্পনা ছিল মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর হবে। যাতায়তের জন্য একটা সংযোগ সড়ক হবে। সেখানে একটি ইকনোমিক জোন হবে, কিছুই হয়নি। শুধু সেখানে একটি বিদ্যুৎ প্লান্ট হয়েছে। আর এখানে একটা টানেল হয়ে গেছে।’
উপদেষ্টা তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ