নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর গোদাগড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভায় ভিজিএফ এর গম বিতরণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ দশজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে কাঁকন হাট পৌরসভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল্লাহেল কাফী, মো. বাবু, মো. দুলাল আলী ও শাহীন । আর বাকিদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
স্থানীয়রা সিল্কসিটি নিউজকে জানায়, আজ সকাল থেকে কাঁকনহাটে ভিজিএফএর কার্ডধারীদের মাঝে গম বিতরণ করা শুরু করা হয়। তবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গম বিতরণ করার জন্য কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল মজিদ দায়িত্ব দেন বিএনপিপন্থি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহনাজ পারভীনকে।
এনিয়ে প্রতিবাদ জানান তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহেল কাফী। শেষে কাফি স্থানীয় থানা পুলিশকে জানিয়ে গম বিতরণ শুরু করেন। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র মজিদ গ্রুপের কাউন্সিলর ও জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলম, অপর কাউন্সিলর বিশু, আমিরুল, মোর্তজাসহ ১০-১২ জনের একটি দল অতর্কিত হামরা করে কাফির ওপর। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে কাফির গ্রামে।
এক পর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে এ অবস্থা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কাউন্সিলর আব্দুল্লাহেল কাফিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এবিষয়ে গোদাগড়ীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গম বিতরণের সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে পুলিশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাফিকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, গত বছর কাউন্সিলর আব্দুল্লা হিল কাফি পৌর মেয়র আব্দুল মজিদের নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে। মেয়রের দুর্নীতির অভিযোগটি এখনো তদন্ত করছে দুদক। এরপর থেকেই কাফিকে পৌরসভায় ঢুকতে দেন না মেয়র আব্দুল মজিদ ও তার গ্রুপের লোকজন। ফলে দুই গ্রুপের মধ্যে তখন থেকেই উত্তেজনা বিরাজমান ছিল।
স/আ