সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
কলায় রয়েছে ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। ওজন কমানোর ডায়েটেও রাখা যেতে পারে এটিকে। কলায় ক্যালরি কম, দ্রবণীয় ফাইবার বেশি এবং প্রতিরোধী স্টার্চ রয়েছে। যা পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি, ৩.০৭ গ্রাম ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপারের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলাও দারুণ উপকারী।
কাঁচা কলায় প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে। এটি একটি কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে দ্রবণীয় ফাইবার হিসেবে কাজ করে।
প্রতিরোধী স্টার্চ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল করে এবং ওজন কমায়।
কলায় কোলিনসহ সব ধরনের ভিটামিন বি আছে। এতে শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। বিশেষ করে, পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত কলা খেতে পারেন।
যারা জাংক ফুডে অভ্যস্ত, তারা এই অভ্যাস ছাড়তে কলা খেতে পারেন। যখন এ ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছা হবে, তখন কলা খেলে খিদে মিটবে, আর পুষ্টিও মিলবে।
কলা পাকস্থলীতে দরকারি ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে, যাতে খুব সহজে খাবার হজম হয়। খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ায় ওজন বাড়ে।
পুষ্টিবিদদের মতে, কলা খেলে যদিও ওজন বাড়ে, তবে এই ফল থেকে দূরে থাকবেন না।
বরং যাদের ওজন ঠিকঠাক রয়েছে, তারা রোজ একটা করে কলা অনায়াসে খেতে পারেন। তাতে শরীরের উপকারই হবে। তবে যাদের ওজন বেশির দিকে, বিএমআই খুব বেশি, তাদের কলা খেতে নিষেধ করা হয়। না হলে ওজন আরো বেড়ে যেতে পারে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ