নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভয়াবহ হয়ে উঠছে রাজশাহী নগরীর করোনা পরিস্থিতি। পুলিশ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউ বাদ যাচ্ছেন না করোনা আক্রান্ত হতে। ফলে দিন যতই যাচ্ছে, ততই করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। বলা যায় রাজশাহী নগরী বিপজ্জনক হয়ে উঠছে করোনা আক্রান্তের দিক থেকে। জেলায় এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এই নগরীতে। বলা যায় জেলায় মোট আক্রান্তের অর্ধেকরও বেশি এই নগরীর রোগী।
রাজশাহীর দুই ল্যাবে আজ মোট ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২৯ জনের বাড়ি রাজশাহীতে। এর মধ্যে নগরীরই হলেন ২৭ জন। এর মধ্যে নগরীতে দুই চিকিৎসকসহ ২৭ জন শনাক্ত হয়েছে আজ। আর জেলার পবায় একজন এবং গোদাগাড়ীতে একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন। সুস্থ হয়েছেন ৫৬ জন।
আজ আক্রান্ত রাজশাহীর ২৯ জনের মধ্যে রয়েছেন রামেক হাসপাতাল ল্যাবে শনাক্ত হওয়া ২৩ জনই রাজশাহী নগরীর। তাদের মধ্যে রাজশাহী ইসলাম ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ ও চিকিৎসক আব্দুল্লাহ, রাজশাহী নগরীর সুনির্মল (২৬), শাহানাজ (৩২), নগরীর ৯ নম্বর ওয়োর্ডের বাসিন্দা রিজিয়া বেগম (৪৫), নগরীর জরিনা (৪৫), জিরিয়া (৪৯), রোকশানা (২৫), আব্দুস সালাম (৩৮), আনিসুর (৫০), ইসমত আরা (২৫), আব্দুল মমিন (৩১),আবু শাহিন (৩৮), কামরুজ্জামান (৪২), রাধারহমান (২৯), আশরাফুল (৪২), মামুন রানা (২৫), মনিরুজ্জামান (৩৭), আইসাথী আক্তার কাজল (৪৩), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারগিস (৪৭), রিমা ((৩৭) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আহসান মোনাম ও বাসি (৪৫)।
অন্যদিকে রামেক ল্যাবে আজ মোট ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ৬ জন, নাটারের ১৪ জন এবং পাবনার একজন।
রামেক ল্যাবে শনাক্ত হওয়া ২১ জন হলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার শরীফুল (৪১), রাজশাহী নগরীর জয় (১৭), রিতা (২১), ইসমাইল হোসেন (৩৪), মুক্তার হোসেন (২৪) ও গোদাগাড়ীর আনোয়ার হোসেন (৩৫), নাটোরের গুরদাশপুরের শেখ সেলিম (৩৮), ইসমত আরা (৩১), কল্পনা (৪৬), নাটোর সদরের লতা রাণী হালদার (৩৯), সোহান (২৫), অনামিকা সরকার (৩৬), আব্দুর রাজ্জাক (৫০), পিজুস কুমার রায় (৫৭), তীর্থ দ্বীপ রায় (২০), সিংড়ার জনাব আলী (৬৩), ফাইজুল ইসলাম (৩০), ইমরান (২৩), বড়াইগ্রামের আয়শা খাতুন (৩২) ও মোছাঃ মাতাসিমা (৩), ও পাবনা সদরের রিক্তা।