কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার কমে রবিবার দুপুরে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এর ফলে তীব্র স্রোতে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

জানা গেছে, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বন্যায় নদীভাঙনে সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের বসতি গড়ে ওঠা সাতটি চর সম্পূর্ণ ও আংশিক বিলীন হয়। বিলীন হওয়া চরের মধ্যে রয়েছে হাটবাড়ি, আউচারপাড়া, উত্তর শিমুলতাইড়, সুজনেরপাড়া, ধনার চর, কাকালিহাতা, খাবুলিয়ার চর, মানিকদাইড় চর ও পাকুরিয়ার চর। নদীভাঙনে এর মধ্যে বিলীন হয়েছে বহুলাডাঙ্গা, উত্তর শিমুলতাইড় ও পাকুরিয়া চরের তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ছাড়া আউচারপাড়া চরে বিলীন হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আউচারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়।

অসময়ে যমুনার পানি বেড়ে তিন ধরে নদীভাঙনে সারিয়াকান্দি উপজেলার দুর্গম দলিকার চর নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। এর মধ্যে দলিকার চরের ৩৬০টি পরিবারের মধ্যে প্রায় ২৪০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহহারা হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক মানুষ। নদীর পানি কমার সঙ্গে বেড়েছে ভাঙনের তাণ্ডব। ভাঙছে লোকালয়, বসতি, ঘরবাড়ি-ফসলি জমি। দিশেহারা দুর্গম চরের হাজারো মানুষ।

নদীভাঙনে যমুনাগর্ভে বিলীনের পথে দলিকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। নতুন করে দলিকার চরে ভাঙনের তাণ্ডবে দিশেহারা মানুষ বসতঘরের টিনের বেড়া, সহায়সম্বল নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। কেউ কেউ নতুন করে জেগে ওঠা পাশের চরে বসতি গড়ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তাই আর বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে পানি কমার সঙ্গে নদী ভাঙন হতে পারে বলে তিনি জানান।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ