বাগমারা প্রতিনিধি:
‘ওরাই পাবে,আমরা না’ এমন কথা শোনা গেল তাদের মুখ থেকে। তারা আর কেউ না, সমাজের সহায় সম্বলহীন খেটে খাওয়া সাধরন মানুষ। যাদের এক বেলা খাবার জুটলে আর এক বেলা জুটেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরিদ্র বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দেশের ৫০ লাখ হত দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ১০ টাকা কেজি চাউল। কিন্তু হত দরিদ্র সেই গরীব লোকজনের ভাগ্যে আসা চাউল চলে যাচ্ছে উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকজনদের বাড়িতে।
গরীব লোকজন ১০ টাকা কেজির চাউল নিতে গিয়ে সঙ্গে থাকা বস্তা নিয়ে ফিরছেন খালি হাতে। অথচ যাদের বাড়িতে কাজ করে চলে গরীবের সংসার তারাই মটরসাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছে ১০ টাকা কেজির সেই দরিদ্রের নামে আসা চাউল।
শনিবার এ রকম চিত্র দেখা গেলো রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নে। জানা গেছে শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ শত দরিদ্র লোকের মাঝে এই চাউল বিতরন করা হবে। দরিদ্র লোকের ১০ টাকা কেজির চাউল নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন যাদের সারা বছর ধান বিক্রয় করতে হয় তাদেরকে।
অন্যদিকে কান্না ভেজা চোখের জল আর মলিন মুখ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সেই হত দরিদ্র গরীব লোকজন। এ যেন এক বেদনা দায়ক চিত্র। যেটা নিজ চোখে না দেখলে তাদের সেই দুঃখ ভরা মনের ভাষা অনুভব করা যাবে না।
চাউল নিতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসা রেখেনা বেগম, মাজেদা বিবি, পুরো বেগম, আঃ মাজিদ,নুরজাহান, বদর উদ্দীনসহ অনেকে অভিযোগ করেন আমাদের নাম আগে থাকলেও চাউল নিতে গিয়ে তাদের নাম নাই ডিলারের হাতে থাকা তালিকায়। ডিলারের তালিকায় নাম না থাকায় ঘন্টার ব্যাবধানে ফিরে এলেন অর্ধশতাধীক অসহায় গরীব লোকজন।
এ ব্যাপারে শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের হত দরিদ্রের মাঝে চাউল বিতরনের ডিলার আবুল কাসেম ও ফরিদ উদ্দীন জানান, তাদের হাতে থাকা তালিকায় যাদের নাম আছে তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে চাউল। তালিকার বাইরে অন্য কাউকে দেয়া হচ্ছে না। এই তালিকা তৈরি করেছেন ক্ষমতাশীন দলের নেতা কর্মী, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। তাদের তালিকা অনুযায়ী দেয়া হচ্ছে চাউল। এতে করে কে পেল আর কে পেল না সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের না বলেও জানান তারা।
অন্য দিকে চেয়ারম্যান আঃ জলিল প্রাং জানান ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির দেয়া নামের তালিকার কারনেই হয়তো এমনটি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন এই কর্মসূচী শুধু হত দরিদ্রের জন্য। এই কর্মসূচীতে কেন ধনী ব্যক্তির নাম থাকবে এমনটি তিনি জানেন না।
স/শ